পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গুপ্তহত্যা বন্ধে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন তাতে ষড়যন্ত্র দেখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাথে খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, বিএনপি যখনই সন্ত্রাস করে তখনই তারা এ ধরনের আহ্বান জানায়। ২০১৫ সালেও যখন দলটি পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ মেরেছিল তখন তারা এটা বন্ধে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিল। এখন আবার বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলায় বোঝা যায় গুপ্তহত্যায় আসলে তারাই জড়িত।
তিনি বলেন, গত বছর বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী আগুন সন্ত্রাস করেছিল। তখন সারা দেশের মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন এই অবস্থার দ্রুত সমাধানে সমাজের নানা স্তরের মানুষ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ঠা-া মাথায় ধৈর্য সহকারে এ সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, যখনই ওই সময় কঠোরভাবে সন্ত্রাস দমন করা হচ্ছিল তখন বিএনপির থিঙ্কট্যাংক থেকে দাবি করা হয়েছিল সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন। আমরা তখন বলেছিলাম আগুন-সন্ত্রাস করে যারা মানুষ খুন করছে তাদের সাথে সংলাপ করে লাভ নেই। হত্যাকারীদের আইনের মাধ্যমেই দমন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সাম্প্রতিক কয়েকটি গুপ্তহত্যার পর যখন সাঁড়াশি অভিযানে অনেক হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেক হত্যাকারী সুনির্দিষ্টভাবে তাদের অভিযোগ স্বীকার করেছে। যখনই সাঁড়াশি অভিযানের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তখনই বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গুপ্তহত্যা বন্ধ করতে জাতীয় ঐকমত্য এবং সংলাপ দরকার। কারণ তারা (বিএনপি) বুঝতে পেরেছে গুপ্তহত্যার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আগুন সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে গুপ্তহত্যাও বন্ধ করতে সক্ষম হব। এতে আপনাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
দুটি কারণে দেশে গুপ্তহত্যা হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এর প্রথম কারণটি হলো ৭১’র পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ করার জন্য এ দেশে তাদের মিত্র ও পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা গুপ্তহত্যা করছে। আরেকটি কারণ হলো বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে ক্ষমতার লোভে মানুষকে হত্যা করে আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। তার এই ক্ষমতার লিপ্সাই গুপ্তহত্যার আরেকটি কারণ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাৎ হোসেন, বাসদেও রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।