পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে দলীয় রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। যা ইতিহাসে লেখা থাকবে। তিনি বলেন, কাউকে হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার বিএনপির নেই। কিন্তু যাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই তারাই অপকর্ম করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ খুঁজে। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার আবদুস সালাম হলে "নির্বাসিত তারেক রহমানও বন্দী বাংলাদেশ" শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় দল। সংগঠনের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএনপির সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মামুন বিন আব্দুল মান্নান, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভার একপর্যায়ে তারেক রহমানকে নিয়ে একটি ভিডিও সংগীত পরিবেশন করা হয়। গানটি প্রযোজনা করেছেন বিএনপি নেতা মামুন বিন আব্দুল মান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তারেক রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত উঁচুমানের। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও বিএনপিতে আগে থেকেই এটা ছিল। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া। এটা তারেক রহমান করেছেন। এটাকে দলের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়াটা ইতিহাসে লেখা থাকবে। তাকে ধন্যবাদ। তিনি কোনো আপোস করেননা। প্রত্যেক অংগ সংগঠনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তিনি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলছেন। বিদেশে থেকে এ কাজ করা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু তিনি সেটা করছেন। তাকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, বিএনপির কাউকে মারার দরকার হয় না। বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিএনপি এমনিতেই অনেক এগিয়ে আছে। তারা কাউকে হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার নেই। বিএনপির ওপর মানুষের আস্থা আছে। কিন্তু সেই দল মানুষ মেরে ক্ষমতায় যায় যাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসংগে সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। গত দশ বছর আগে যা ছিল তার কমেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের প্রকৃত আয়কে আরো কমিয়ে দিচ্ছে। জীবনযাত্রার মান কমেছে। কিন্তু জনগণ কথা বলছেনা। মিডিয়া লিখতে ও বলতে পারেনা। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। তিনি বলেন, আসলে যে সরকার দেশে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা, ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। সেখানে তারা দ্রব্যমূল্যও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা।
আমীর খসরু বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। গুম হচ্ছে খুন হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রেখেছে। উন্নয়নের নামে চলছে লুটপাট। আসলে তারা প্রত্যেক জায়গায় রাজনীতি করণ করেছে। কেবল আওয়ামী ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিচ্ছে। দলীয় লোক দিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দখল করেছে। বাংলাদেশে এখন মুক্তবাজার অর্থনীতি নেই। এখন আছে আওয়ামী অর্থনীতি। এভাবেই চলছে দেশ।
তিনি আরো বলেন, সরকার কারো কাছে জবাবদিহি করেনা। তারা তো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। এজন্যই তাদের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো আগ্রহ নেই। তারা মনে করছেন যে জনগণের কাছে তো যাওয়া লাগবে না। তাই এভাবেই চলছে চলুক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।