পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘একদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি আর অন্যদিকে আমরা সারাদেশের মানুষ একটা খোলা জেলে বন্দি। উপরের আকাশ খোলা, বাতাসও পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আমরা বন্দি আছি। যুব দলের বর্তমান ও সাবেক নেতারা এখানে আছে, আপনারা কী ভুলে গেছেন এমনই একটা সময় ছিলো ৯০-৯১ বা তার আগে এই যুব দলই নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচারী এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলো। আজকে তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-যুব দলের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনুন, এই দেশকে আবারো স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকতে সাহায্য করুন। আমি বিশ্বাস করি, যুব দল ঠিকভাবে কাজ করলে পরিবর্তন আসবে।’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
বুধবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী যুব দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলসহ বিভিন্ন সংগঠন দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে তারেকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে। এ সময় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, সুদুর প্রবাসে অবস্থারত আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এখানে শুধু আমি নই, আমার রাজনৈতিক সহকর্মীরাও তার প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আমরা দোয়া করবো আল্লাহ‘তালা যাতে তাকে সুস্বাস্থ্যে দীর্ঘদিন নেক হায়াত দান করেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান জন্ম নিয়েছেন-এটা আমাদের জন্য আনন্দের। এই দিনটা একজন মানুষের জীবনে সকল সময়েই আসে, কেউ পালন করে সরবে, কেউ পালন করে নিরবে। আমাদের সরবে পালন করার কথা ছিলো। অনেক উতসাহ, অনেক উদ্দীপনা। আমার তো মনে হয়, সারা বাংলাদেশে অন্ততঃ কয়েক‘শ কেক এই মুহুর্তে কাটার কথা ছিলো। কিন্তু তারেক রহমান সাহেব এটা নিষেধ করেছেন। এই মুহুর্তে এই ধরনের অনুষ্ঠান চাচ্ছেন না। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন কারান্তরালে, হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তার যে বর্তমান অবস্থা কেমন সেটা জানার অধিকার বর্তমানে বাংলাদেশের জনগনের নেই। এই সরকার এটাকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের এই দিনে তারেক বগুড়ায় জন্মদিন গ্রহন করেন। ২০০৭ সালে ১/১১ পরিবর্তনের পর ততকালীন সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার তারেককে গ্রেপ্তার করে এবং তার বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা দেয়। গ্রেপ্তারের পর গুরুতর অসুস্থ হলে সুপ্রিম কোর্টের জামিনে তারেক চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান স্বপরিবারে। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।