পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কলকাতার বর্তমান পত্রিকার প্রতিবেদন
ইনকিলাব ডেস্ক
বড় বিপদ এই উপমহাদেশে আইএস জঙ্গিদের শক্তিবৃদ্ধি ও যেন তেন ভারতের মাটিতে অনুপ্রবেশ। তার মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকগুণ। যদি বেআইনিভাবে নদী পেরনোর চেষ্টা হয় তাহলে অনুপ্রবেশকারী দেখতেই পাবে না যে ওই নদীর ওপরে রয়েছে লেজার বিম। নির্দিষ্ট একটি দূরত্বে এলেই আচমকা সাইরেন বেজে উঠবে এবং অনুপ্রবেশকারী তখন হয়তো মাঝনদীতে। স্থলসীমান্তে যেখানে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রহরা বা টহলদারি জওয়ান কিংবা গেট নেই, সেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই বলে অনুপ্রবেশকারীরা মনে করতেই পারে গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে ওপার থেকে এপারে চলে আসা সম্ভব। কিন্তু সেরকম স্থানে থাকতে পারে লেজার ওয়াল। যার বৈশিষ্ট্য হল সীমান্তরেখার নির্দিষ্ট একটি দূরত্বে কোনও চলমান বস্তু যদি চলে আসে লেজার ওয়ালের কাছে তাহলে সেটি একদিকে যেমন অ্যালার্ম দেবে এবং পাশাপাশি কেউ যদি সেটি পেরনোর চেষ্টা করে আগেভাগেই রশ্মির মাধ্যমে তাকে আঘাত করবে এবং গুরুতর জখম হবে। আর কোনও কাঁটাতার কিংবা ইনসাস রাইফেল হাতে প্রহরা নয়, এবার পাকিস্তান সীমান্তে যেমন দেওয়া হয়েছে তেমনই ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যের আরও বেশি এলাকায় আইএস জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই লেজার বিম ও লেজার ওয়াল বসানো হচ্ছে।
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ২ বছর আগেই পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমান্তে এই বিশেষ অত্যাধুনিক সীমান্ত সুরক্ষার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং সেইমতো পাকিস্তান সীমান্তের ৪৫টি স্থানে এই লেজার বিম ও লেজার ওয়াল বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৬টি সীমান্ত এলাকায় ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এতদিন ঠিক ছিল বাংলাদেশের সীমান্তে আপাতত দু’টি জায়গায় বসানো হবে। কিন্তু আচমকা আইএস-এর অতি সক্রিয়তা এবং আগ্রাসী আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বাংলাদেশ সীমান্তে আরও বেশি করে লেজার ওয়াল বসছে। বসছে নদী সীমান্তে লেজার বিম। স্যাটেলাইট বেসড সিগন্যাল কমান্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে একদিকে যেমন থাকছে সাইরেন, অ্যালার্ম আর রে ক্ষেপণের প্রক্রিয়া, তেমনই থাকবে ক্যামেরাও। যা গোটা এলাকাটিকে মনিটর করবে। অর্থাৎ ঠিক যে অঞ্চলে লেজার বিম বা লেজার ওয়াল থাকবে সেখানেই থাকবে ক্যামেরাও।
যা কোনও অনুপ্রবেশকারী এই ফাঁদে ধরা পড়লেই গোটা প্রক্রিয়াটি রেকর্ড করে রাখতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুদের এদেশে স্থায়ীভাবে নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা হবে স্থির হয়েছে। তাদের দেওয়া হবে সমস্ত রকম নাগরিক পরিচয়পত্র। এই কারণেই আগামীদিনে যাতে জঙ্গি কিংবা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা আর বেআইনিভাবে ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই সীমান্ত সুরক্ষা আরও কঠোর করা হচ্ছে। গত বছর জম্মুতে প্রথম পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার নদীর উপরে লেজার বিম বসানোর কাজ শুরু হয়। এবং তারপর লেজার ওয়াল। এরপর যেভাবে পাঠানকোটে ৬ জন জয়েশ ই মুহাম্মদ জঙ্গি পাঞ্জাবের নদী খাত পেরিয়ে নিশ্চিন্তে ঢুকে পড়ে হামলা চালায় সেরকম পরিস্থিতি আটকাতে এরার আরও বেশি করে নদী সুরক্ষায় জোর দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তেও হবে লেজার বিম প্রযুক্তি। আগামীদিনে অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং জঙ্গি পাচার বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে আরও বাড়তে চলেছে বলে জেনেছে গোয়েন্দা সংস্থা এবং এতদিন হুজি ছিল বাংলাদেশের প্রধান অপারেটর। তাদের মোডাস অপারেন্ডি জানে ভারতীয় গোয়েন্দা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কিন্তু এবার আশঙ্কা আইএসের। নতুন এবং সব থেকে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদী আজকের দুনিয়ায়। তাই এবার নতুন সতর্কতা। সূত্র : বর্তমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।