পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
মিসরের অধীনে থাকা লোহিত সাগরের দুটো দ্বীপ সউদী আরবের হাতে তুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করেছে মিসরের একটি আদালত। প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি গত এপ্রিল মাসে সউদী আরব সফরে গিয়ে বাদশাহ সালমানকে সানাফির ও তিরান নামের এই দ্বীপ দুটো ফিরিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়ে এসেছিলেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মিসরে বিক্ষোভের মধ্যেই আদালতের এই রায় ঘোষণা করা হলো। খুব ছোট দ্বীপ দুটি সিনাইয়ের দক্ষিণে লোহিত সাগরের মুখে অবস্থিত। ১৯৮২ সাল থেকে এখানে কিছু মিসরীয় সৈন্য এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। এ দ্বীপ দুটিতে কোন মানুষের বসতি নেই। এই জায়গাটা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণে এই জলপথটি ইসরাইল ব্যবহার করে লোহিত সাগরে ঢোকার জন্য। বলা হয়, দ্বীপ দুটির মূল মালিক সউদী আরব। তারাই ১৯৫০ সাল থেকে মিসরকে এগুলো পাহারার দায়িত্ব দিয়েছিল।
ইসরাইল ১৯৫৬ এবং ১৯৮২ সালে দু’বার দ্বীপ দুটি দখল করে নিয়েছিল। তবে পরে তারা এগুলো আবার মিসরকেই ফেরত দেয়। এরপর ২০১৬ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি দ্বীপ দুটি তিনি সউদী আরবকে ফিরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মিসরে এর তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। যার পরিণতিতে ১৫০ জন লোকের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- হয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেন যে, আল-সিসি মিসরের ভূখ- সউদী আরবকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। খালেদ আলি নামে একজন অধিকার কর্মী এ নিয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলার রায়ে এখন মিশরের স্টেট কাউন্সিল নামের প্রশাসনিক আদালত সিসির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়ে বলেছে, দ্বীপ দুটি মিসরের অধীনই থাকবে। এই রায়ের সময় আদালতে অনেকে হর্ষধ্বনি করেন এবং ‘এই দ্বীপ মিসরেরই’ স্লোগান দেন। সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। তবে উচ্চতর প্রশাসনিক আদালত যদি তা বহাল রাখে তাহলে এ সিদ্ধান্ত আইনি বৈধতা পেয়ে যাবে। রাজনৈতিকভাবে প্রেসিডেন্ট সিসির জন্য এই রায় বিব্রতকর। কারণ আল-সিসি বলে আসছেন, এই দ্বীপগুলো বরাবরই সউদী আরবেরই ছিল। কিন্তু আদালত গতকাল রায় দিল যে, এগুলো মিসরেরই। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।