পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নগদ লভ্যাংশ দেয়ার প্রবণতা তুলনামূলক কম। সর্বশেষ হিসাব বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৫ শতাংশ কোম্পানিই কোনো নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেনি। আর ১০ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ৫২ শতাংশ কোম্পানি। অবশিষ্ট ১৩ শতাংশ কোম্পানি নামেমাত্র নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার হার ১ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ার বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে মূলত নগদ লভ্যাংশ পাওয়ার জন্যই। তাই কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ দিলে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি উপকৃত হয়; কিন্তু অনেক কোম্পানিই বছর বছর ভালো মুনাফা করলেও নগদ লভ্যাংশ দিতে চায় না। তারা বোনাস শেয়ার দিয়ে কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি করে। বছরের পর বছর ধরে শুধু বোনাস লভ্যাংশ দেয়ায় বিনিয়োগকারীরা নগদে কিছুই পায় না, পায় শুধু শেয়ার।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকে শুধু বোনাস লভ্যাংশই দেয়। কখনোই তারা নগদ লভ্যাংশ দেয় না। এ কোম্পানিগুলো যেন নগদ লভ্যাংশ দেয় সে দাবি বিনিয়োগকারীদের। এদিকে বোনাস শেয়ার দেয়ার বিষয়ে এসব কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিগুলো আগামীতে আরো ভালো করবে, যার সুফল পাবেন শেয়ারহোল্ডাররাই।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে যেসব কোম্পানি শুধু বোনাস শেয়ার দেয় তাদেরকে নিরুৎসাহিত করতে রাজস্ব বোর্ড কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। কর হারের মাধ্যমে এ পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়। যারা নগদ লভ্যাংশ দিবে তাদেরকে কিছুটা কর ছাড় দেয়া যায়। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই। তাছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিগুলোকে নৈতিকভাবে নগদ শেয়ার দেয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এতে কোম্পানিগুলোর নগদ লভ্যাংশ দেয়ার হার বাড়লে এ কোম্পানিগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বাড়বে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাজারে তালিকাভুক্ত ২৯১টি কোম্পানির (মিউচুয়্যাল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ড বাদে) মধ্যে ১৫৪টি কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো।
রেকিট বেনকিজার দিয়েছে ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। বিএটিবিসি ও গ্লাক্সো-স্মিথক্লাইন দিয়েছে ৫৫০ শতাংশ করে। এছাড়া মেরিকো ৪৫০ শতাংশ, বার্জার পেইন্টস ৩৭০ শতাংশ, বাটা সু ৩২০ শতাংশ, লিন্ডে বিডি ৩১০ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ৩০০ শতাংশ এবং গ্রামীণফোন ১৪০ শতাংশ। আর ৩৩টি কোম্পানি দিয়েছে ১০ শতাংশের নিচে নগদ লভ্যাংশ। অবশিষ্ট ১০৯টি কোম্পানি কোনো নগদ লভ্যাংশই দেয়নি। অথচ এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানিই মুনাফা করেছে। সেই মুনাফা থেকে নগদ লভ্যাংশ না দিয়ে তারা শুধু বোনাস শেয়ার দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।