পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : আরতি রাণী রায় নামে এক মহিলা ভাইস প্রিন্সিপালের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন গোলাম ফারুক নামে কলেজের এক প্রিন্সিপাল। ভাইস প্রিন্সিপাল আরতির অব্যাহত জুতা পেটার চোটে চেয়ার ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে প্রিন্সিপাল গোলাম ফারুক। এ সময় প্রিন্সিপালের কক্ষে কিছু ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। গত সোমবার দুপুরে মনোহরদী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনা প্রচারিত হবার পর সারা মনোহরদী শহর তথা মনোহরদী শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা জানিয়েছে, মনোহরদী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক একজন দুর্নীতিবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কলেজটিতে বর্তমানে একাদশ, ডিগ্রি ও ৩টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি কলেজটিতে শিক্ষার্থীদেরকে আলাদাভাবে কোচিং দেয়া হয়। এতে ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে আদায়কৃত অর্থ প্রিন্সিপাল ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা ভাগাভাগি করে নেয়। গত সোমবার সকাল ১০টায় কোচিংয়ের টাকা ভাগাভাগির সময় কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের সাথে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের কথা কাটাকাটি তথা বাক-বিত-ার সৃষ্টি হয়। এর ফলশ্রুতিতে ভাইস-প্রিন্সিপাল আরতি রাণী রায় তার পাওনা আনতে গেলে প্রিন্সিপালের সাথে আরতি রাণীরও বাক-বিত-া ঘটে। এক পর্যায়ে আরতি রাণী ক্ষিপ্ত হয়ে তার নিজের পায়ের জুতা খুলে প্রিন্সিপাল গোলাম ফারুককে অবিরাম পেটাতে শুরু করে। এসময় ঘটনা দেখে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা হতভম্ব হয়ে যায়। কিন্তু প্রিন্সিপাল গোলাম ফারুকের সাথে শিক্ষকদের মন কষাকষি থাকায় কেউই তাকে রক্ষা করতে যায়নি। যার ফলে ভাইস প্রিন্সিপাল আরতির জুতা পেটার তোড়ে শেষ পর্যন্ত প্রিন্সিপাল গোলাম ফারুক চেয়ার থেকে উঠে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বেঁচেছেন। এই ঘটনাটি নিয়ে এখন মনোহরদী শিক্ষাঙ্গনে চলছে মুখরোচক গল্প, আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। কেউ প্রিন্সিপালকে দোষারোপ করেছে আবার কেউ দোষারোপ করেছে ভাইস-প্রিন্সিপালকে। শিক্ষানুরাগী লোকজন বলেছে কলেজের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বাইরে কোচিং দেয়া, টাকা নেয়া নীতিগতভাবে একটি গর্হিত কাজ। এ গর্হিত কাজটির জন্যই এ অবাঞ্ছিত ঘটনাটি ঘটেছে। যেখানে ব্যক্তিস্বার্থ থাকে সেখানেই সংঘাত সৃষ্টি হয়। মনোহরদী কলেজে এই অবাঞ্ছিত ঘটনাটিও এই নীতি বিগর্হিত ঘটনারই ফলশ্রুতি।
এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদক প্রিন্সিপাল গোলাম ফারুকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, কোচিংয়ের সম্মানী ৩৫০ টাকা কম দেয়ায় সম্মানীকে ভিক্ষা হিসেবে আখ্যায়িত করে আরতি রাণী আমাকে গালাগাল করে। আমি শালীনতা বজায় রাখার কথা বললে তিনি আমাকে লাঞ্ছিত করেন।
পক্ষান্তরে ভাইস প্রিন্সিপাল আরতি রাণী রায়ের নাম্বারে ফোন করলে দীর্ঘক্ষণ পর মিতা নামে তার এক ছাত্রী ফোন রিসিভ করে জানায় তিনি বাড়িতে নেই। মোবাইল চার্জে দিয়ে বাইরে গেছেন। তবে তিনিও সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, আমি ৩ বছর যাবত কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি কলেজে যোগদানের পর থেকেই অধ্যক্ষ সাহেব বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় অনার্সের কোচিং ফি নিয়ে তিনি আমার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার সাথে অশালীন আচরণ করেন। আমি নারী হিসেবে নিজেকে রক্ষায় প্রতিরোধ করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।