পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মীর কাসেমের আবেদন দ্রুত শুনানির জন্য চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। পরে চেম্বার বিচারপতি আগামী ২৫ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন।
মীর কাসেম গত রোববার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। তার ছেলে আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাসেম জানিয়েছেন, পুনর্বিবেচনার আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরে তাঁর খালাস চাওয়া হয়েছে। রিভিউয়ে মীর কাশেম আলীর খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রেখে গত ৮ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। ৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছার পর মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই রাতেই মৃত্যুপরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। পরদিন কাশিমপুর কারাগারে তাকে তা পড়ে শোনানো হয়। এরপর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করায় দ-ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। এই আবেদন খারিজ হলে শেষ সুযোগ হিসেবে মীর কাসেম প্রেসিডেন্টে কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। তবে প্রাণভিক্ষা না চাইলে কিংবা ওই আবেদন করার পর তা নাকচ হলে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। মীর কাসেমকে গতকাল সোমবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।