Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাপ্তাইয়ে লোকালয়ে অজগর, হরিণ ও হাতি

নির্বিচারে বন ধংস ও খাদ্যসংকটের ফলে

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কবির হোসেন কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : কাপ্তাই খাদ্যের সন্ধানে বারবার লোকালয়ে নেমে আসছে অজগর সাপ, হরিণ ও বন্যহাতিসহ বিভিন্ন প্রজাতীর বণ্যপ্রাণী। নির্বিচারে বন ধবংস, খাদ্যসংকট ও  আশ্রায়স্থাল না থাকায় একাধিকবার বনের বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে এবং তাঁদের হাতে ধরা পড়ছে বলে এলাকার লোকজন বিভিন্ন মত প্রকাশ করছে। তেমনি (সোমবার) রাতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় শিক্ষক আশরাফের বাসায় কবুতর খেতে এসে ১২ ফুট দৈঘ্য একটি আজগর সাপ জনতার হাতে আটক হয়। বিশাল আকৃতির সাপটিকে দেখার পর পরিবারের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে বিউবো লোকজন দ্রুত ছুটে এসে প্রথমে বস্তা ভর্তি পরে একটি লোহার খাচায় আটক করে রাখে। এর কয়েক মাস পূর্বে পাশ্ববতী বন থেকে একটি হরিণের শাবক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোহছেনের বাসায় আহত অবস্থায় ডুকে পড়ে তাঁরা শাবক হরিণটিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বন বিভাগের লোকদের খবর দিয়ে তাঁদের হাতে সোর্পদ করে।
এর রকম প্রতিদিন খাদ্যর সন্ধ্যানে এসে বন থেকে বণ্যপ্রাণী লোকালয়ে আসছে এবং বিভিন্ন ভাবে আটক হচ্ছে। গত তিন দিন পূর্বে (রোববার) বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এসে ব্যাঙছড়ি দুঃখ চাকাম ও রাইখালী আমতল এলাকায় হ্লাপ্রু মারামা একই দিন রাতে এ দু’জনকে মেরে ফেলে। এ নিয়ে এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত আতংক বিরাজ করছে। এলাকার অভিজ্ঞ লোকজন বলছেন নির্বিচারে বনধ বংশ, পাহাড় কাটা,বনের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ায় জীববৈচিত্র্যর হুমকির মুখে পড়ছে। এদিকে আটক আজগরটি গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে কর্ণফুলী রেঞ্জ কর্মকর্তা দেবদাস মুর্খাজী ও কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রর লোকজন কাপ্তাই খালের মুখ এলাকায় ন্যাশনাল পার্কে ছেড়ে দেওয়া হয় বেল তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাপ্তাইয়ে লোকালয়ে অজগর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ