পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন এবং এজাহারের বাইরে রয়েছে ছয়জন। গতকাল বুধবার দুপুরে চার্জশিট আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বুয়েট ছাত্র আবরারকে হত্যার আগে মারপিটে সরাসরি ১১ জন অংশ নিয়েছিল। বুয়েটের ছাত্রদের উচ্ছৃংখলতার চরম বহিঃপ্রকাশ আবরার হত্যাকান্ড। বুয়েট হল প্রশাসন ছাত্রদের বিষয়ে আরও একটু সতর্ক হলে উচ্ছৃংখলতা এড়ানো বা কমানো যেত। ফলে এরকম হত্যাকান্ড ঘটতো না। আবরার হত্যাকান্ড তদন্ত করতে গিয়ে বুয়েট হল প্রশাসনের এসব ব্যর্থতা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারে নির্ভুল চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে মোট ২৫ জনের জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে এজাহারে থাকা ১৯ জন ছাড়াও ৬ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এজাহারে থাকা ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকী তিনজন (জিসান, তানিম ও মোরশেদ) পলাতক রয়েছে। এছাড়া এজাহার বহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জন গ্রেফতার হলেও একজন (মুজতবা রাফিত) পলাতক রয়েছে। এছাড়া মামলার অভিযোগপত্রে ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সাক্ষী করা হয়েছে, শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিন বয়, মৃত ঘোষণাকারী চিকিৎসক, সিকিউরিটি গার্ড, আবরারকে হাসপাতালে যারা নিয়ে গেছেন তারা, হল প্রভোষ্ট এবং হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তিনি আরো বলেন, মারপিটে সরাসরি অংশ নেয়াদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকী তিনজনের মধে মেহেদী হাসান রাসেল জবানবন্দি দেয়নি। আর বাকী দুইজন (জিসান ও তানিম) পলাতক রয়েছে। ১১ জন সরাসরি অংশ নিলেও বাকী ১৪ জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোনো না কোনো উপায়ে হত্যায় সহায়তা করেছে। ফলে তাদের নাম যথোপযুক্ত প্রমাণ সহকারে অভিযোগপত্রে আনা হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে আবরার ফাহাদকে শায়েস্তা করতে শিবির আখ্যায়িত করে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ১০টা থেকে শেরেবাংলা নগর হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে মারপিট করে। সেখান থেকে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আবার তাকে মারপিট করা হয়। এরপর রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে চিকিৎসক ডাকা হলে তিনি আবরারকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন।
তিনি বলেন, আবরার হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি মারপিটে অংশ নিয়েছে, তদন্তে নাম পাওয়া সেই ১১জন হলো-বুয়েট ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের মেহেদী হাসান রাসেল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচের মুহতাসিম ফুয়াদ, ১৫ তম ব্যাচের অনীক সরকার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের মেহেদী হাসান রবিন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ইফতি মোশারফ হোসেন সকাল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইইই বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মো. জিসান, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শামীম বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বি তানীম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শামসুল আরেফিন রাফাত ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মনতাসির আল জেমি।
এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, একক কোনো কারণে আবরার হত্যাকান্ড ঘটেনি। হত্যাকারীরা বুয়েটের ছাত্র হলেও এরা র্যাগিং করত এবং উচ্ছৃংখল হয়ে উঠেছিল। ছোট খাটো বিষয়ে কেউ দ্বিমত করলে, তাদের সালাম না দিলে, সমীহ করে না চললে, অকারণে হাসি ঠাট্টা করলে তারা অন্যান্য ছাত্রদের ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখত। নানা কারণে বহুদিন থেকে এরা উচ্ছৃংখল চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে আবরার হত্যার মধ্য দিয়ে। তারা কথিত শিক্ষা দেয়ার নাম করে একজনের ওপর অত্যাচার করে। তারা মনে করে, একজনকে শায়েস্তা করতে পারলে বাকীরা এমনিতেই সোজা হয়ে চলবে। এজন্য অনেককে মাঝেমধ্যেই মারপিট করত।
চার্জশিটভূক্ত অন্যান্যরা হলো-মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মো. মাজেদুর রহমান (ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), মোজাহিদুর রহমান (ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), মো. আকাশ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), নাজমুল শাদাত ( মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), মোয়াজ আবু হোরাইরা (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) ১৭তম ব্যাচ), অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মুজতবা রাফিদ (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ইসতিয়াক হাসান মুন্না (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মাহামুদ সেতু (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৪তম ব্যাচ)।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১১ নম্বর কক্ষে রাত ১০টার দিকে মারপিট শুরুর পর রাত আড়াইটার দিকে ডাক্তার গিয়ে আবরারকে মৃত ঘোষণা করে। তার আগে বাইরের কেউ জানত না।
বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে কোপানোর পরও আসামিদের শাস্তি হয়নি, আবরারের হত্যাকারীদের ক্ষেত্রে কি আদৌ শাস্তি হবে বলে মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে যারা কুপিয়েছে তাদের শাস্তি বহাল আছে। যারা সরাসরি জড়িত ছিল না তারা কেউ কেউ উচ্চ আদালতে গিয়ে শাস্তি কমিয়েছে। আবরারের বেলায় আশা করছি তেমনটি হবে না। কারণ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও আগের চেয়ে তদন্তের দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে ঘটনা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে।
আবরারকে কেন ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, তদন্তে কি জানতে পেরেছেন? এর জবাবে তিনি জানান, তারা মনে করত, আবরারের আচরণগত সমস্যা ছিল, সালাম দিতো না, সব সময় তীর্যক মন্তব্য করত, হাসি ঠাট্টা করত, তার চলনে শিবির বা হিযবুত তাহরীর করে এমন সন্দেহ করত ভেবেই আবরারকে রাত ৮টার দিকে ডেকে নিয়ে যায় হত্যাকারীদের কয়েকজন। মূলত উচ্ছৃংখলতার চরম মাত্রায় পৌঁছানোর কারণেই এরকম একটি মর্মান্তিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ আবরারের বিষয়ে কখন জানতে পেরেছে? জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, রাত ৩টার দিকে ডিউটি অফিসারকে একজন ছাত্র ফোন করে বলেছিল, হলে একজন শিবির আটক হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ হলের গেটে এসে সেরকম কিছু না পেয়ে চলে যায়।
অমিত সাহার বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, অমিত সাহা ঘটনাস্থলে না থাকলেও ঘটনার আগে এবং ঘটনার দিন হত্যায় পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে। ঘটনার আগেও সে আবরারকে শায়েস্তা করতে চেয়েছে। এর আগে আরও একজনকে পিটিয়েছে অমিত সাহা। সে কারণে অমিত সাহাকে একজন অন্যতম আসামী হিসেবে যুক্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। অমিত সাহা ধর্মীয় কারণে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এমন প্রচারণা থাকলেও তদন্তে তেমন কোনো তথ্য উঠে আসেনি। সেও ছিল চরম পর্যায়ের উচ্ছৃংখল। এই হত্যাকান্ডের শিক্ষণীয় বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, আইন অমান্য করলে, অপরাধ সংঘটিত করলে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ যদি মনে করে অপরাধ ঘটানোর পরও পার পাওয়া যাবে তাহলে সেটি হবে মারাত্মক ভুল। এটি হচ্ছে সমাজের জন্য মেসেজ।
১৯ আসামি কাশিমপুর কারাগারে
আবরার হত্যা মামলার ১৯ আসামিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গ্রেপ্তারের পর তিন দফায় তাদের এখানে পাঠানো হয়। সর্বশেষ সোমবার অমিত সাহাসহ তিনজনকে এ কারাগারে আনা হয়। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পর তাদের ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে গাজীপুরের এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
নির্ভুল চার্জশিট দেয়া হয়েছেঃস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারে নির্ভুল চার্জশিট দেয়া হয়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধের সময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে যাতে আমন্ত্রণ না জানানো হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিজয় দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গৃহিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধের সময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে যাতে আমন্ত্রণ না জানানো হয়। তারা যেন এসব মানুষদের প্রতি নজর রাখে। একইসঙ্গে তারা যেন এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে এসে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়াতে পারেন। এ বিষয়ে আজ আমরা একমত হয়েছি। ঢাকাসহ সারাদেশে বিজয় দিবসের দিন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে বিষয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। ওই দিনটি যাতে সবাই মনের মাধুরী মিশিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পালন করতে পারে, এর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ আমরা কয়কটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্তগুলো হলো, বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। তবে সেটি হতে হবে আমাদের জাতীয় পতাকার নির্দিষ্ট কোড অনুযায়ী। মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পতাকার মাপ, রং, আকার ঠিক রেখে উত্তোলন করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি যারা বিভিন্নস্থানে পতাকা তোলেন, সেখানে পতাকার রং, নিদিষ্ট মাপ ঠিক থাকে না। ছেঁড়া ও মলিন পতাকা তোলা হয়। তাই আজ আমরা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৬ ডিসেম্বর যে পতাকাটি তুলবেন, সেটা যেন নিদিষ্ট রং, মাপ ঠিক রেখে হয়।
তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমরা ১৬ ডিসেম্বর ঘটা করে উদযাপন করলেও ১৪ ডিসেম্বর সেভাবে পালন করি না। তবে এ বছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য পর্যাদায় পালন করা হবে। এ জন্য আমরা ১৪ তারিখে সারা বাংলাদেশে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৪ ডিসেম্বরের পরে যে কেউ ১৬ ডিসেম্বর উদযাপনের জন্য আলোকসজ্জা করতে পারবে। ১৪ ডিসেম্বর আমরা মর্যাদা সহকারে স্মরণ করব। এজন্যই আমরা সেদিন কোনো আলোকসজ্জা করব না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিজয় দিবসে কর্মসূচি অনুযায়ী যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন করবেন, তাদের অবশ্যই সাতদিন আগে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।