পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ দেখলেই সেই স্থানে পলাতো বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, যেখানে যুদ্ধ, যেখানে গোলাবারুদ সেখানেই উনি নেই। উনি (জিয়াউর রহমান) আসলে কোনো যুদ্ধ করেননি।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, উনি (জিয়াউর রহমান) আর আমি একসঙ্গে ছিলাম। আমি তখন নির্বাচিত এমপি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বেলা ২টায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান সাহেব বঙ্গবন্ধু মধ্য রাতে যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই ঘোষণাটি পাঠ করেন এম এ হান্নান। আমি একটা কথা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, সেই বক্তব্য আবার লিখিতভাবে ড্রাফট করে দেই আমরা। আমরা সেটা উনাকে (জিয়াকে) দিলাম উনি সেটা পড়েছেন আই মেজর জিয়া অন বি হাফ অব দ্য আওয়ার গ্রেট লিডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টু ডিকলেয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া আপনি নিজেই বলেন জিয়া ২৭ তারিখ স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন। তাহলে ২৬ তারিখ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করেন? এর কোনো উত্তর আপনার কাছে আছে। কাজেই ইতিহাস যেটা, সেটাই সত্য। ইতিহাস মেনে চলা উচিত। তাই এখনো যারা বেঁচে আছে তাদের কাছ থেকে সত্য ইতিহাস তুলে ধরা উচিত।
মন্ত্রী বলেন, যেখানে যুদ্ধ, সেখানেই সে (জিয়া) থাকত না। আমাদের ছেড়ে সে পালিয়ে যেত। তার সঙ্গে থাকা একজন লেফটেন্যান্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রেখে রামগড়ে চলে যায় জিয়া। আমরা রামগড়ে গিয়ে দেখি সে রামগরে বসে আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনি এখানে কেন, সে বলে আমি ভারত থেকে অস্ত্র নিতে এসেছি। আজ হঠাৎ এসব কথা মনে পড়ল পাশেই বসা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার সাথী মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম ও ক্যাপ্টেন (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়াকে দেখে। তারা আছেন তারা বলতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেত্রী। তার নাম সবখানে আর অপর দিকে ম্যাডাম খালেদা জিয়া চ্যাম্পিয়ন অব দ্য সন্ত্রাস। চ্যাম্পিয়ন অব দ্য পেট্রলবোম হয়েছেন। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যেভাবে বাস পুড়িয়েছেন, মানুষ পুড়িয়েছেন, এমন কোনো কাজ নেই তিনি করেননি। এখনো অবরোধ- হরতাল চালু আছে। নয়া জিনিস শুরু করেছেন সেটা হলো গুপ্তহত্যা। তবে যেভাবে ৯০ দিন পর আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন, যেভাবে নির্বাচন রুখতে পারেননি, সেভাবেই এই গুপ্তহত্যা বন্ধ হবে একদিন।
বক্তৃতাকালে এমপিদের জমির বদলে সহজ শর্তে অ্যাপার্টমেন্ট দেয়ার প্রস্তাব করলেও তৎক্ষণাৎ এমপিরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এসময় সভাপতির আসনে বসা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো: ফজলে রাব্বী মিয়া এমপিদের উদ্দেশে এমপিদের নীরব থাকার আহ্বান জানান।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটা প্রকল্প বছরের পর বছর চলতে পারে না। তাই আমরা ঠিক করেছি ২০১৮ সালের মধ্যে পূর্বাচল নতুন শহরের কাজ শেষ করব। এই পূর্বাচল শহর হবে একটি নতুন ও স্মার্ট শহর। এখানে ক্যাবল সাবমার্চ ক্যাবল সব মাটির নিচে থাকবে।
তিনি বলেন, অধিক লোকের আবাসন সুবিধার জন্য পূর্বাচলে অংশীদারের ভিত্তিতে ৬২ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করছি। এছাড়া ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে ইতোমধ্যে ১১ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছি। এই প্রকল্পও ২০১৭ সালে শেষ হবে। উত্তরা আদর্শ প্রকল্পও ২০১৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ৩৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। প্রায় সবগুলো ফ্ল্যাটই বিক্রি হয়েছে। মাত্র ৫০০-৬০০ ফ্ল্যাট অবিক্রীত রয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটি যখন অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করে তখন কোনো অ্যাপার্টমেন্ট অবিক্রীত থাকে না।
এসময় মন্ত্রী বলেন, যারা মাননীয় সংসদ সদস্য আমার কাছে জমি চাচ্ছেন, আমি মনে করি জমি না নিয়ে এই সুযোগ গ্রহণ করুন, অ্যাপার্টমেন্ট নেন। তার এই প্রস্তাব নো নো বলে সমস্বরে প্রতিবাদ করেন উপস্থিত এমপিরা। এমপিরা চান প্লট। এসময় কিছুক্ষণের জন্য কথা বলা বন্ধ করে দেন মন্ত্রী।
পরে ডেপুটি স্পিকারের হস্তক্ষেপে আবার বক্তৃতা শুরু করে মন্ত্রী বলেন, অ্যাপার্টমেন্ট নেয়ার পরও আমি নতুন প্রকল্প নেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখানে প্রায় ২ হাজার ২০০ একর জমির ওপর নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অ্যাপার্টমেন্ট নেয়ার পরও সেখানে আপনাদের প্লট দেয়া হবে।
মন্ত্রী এমপিদের নিজ এলাকায় প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গ্রহণ করছি। ইতোমধ্যে ৫৫টি এলাকায় এটি করেছি। আপনারা ২০ একরের মধ্যে প্রকল্প দেন পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা করতে পারবেন। খরচ দেবে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। মানুষকে শহরমুখী না হওয়ার জন্য এটা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।