পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনার পর সেখানকার নিরাপত্তা বাড়িয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার উদ্দিন বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাকে এখানে আনা হয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার জানান, গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে প্রিজনভ্যানে করে মীর কাসেমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, মীর কাসেমকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এখন তাকে এখানেই রাখা হবে।
২০১২ সালে গ্রেফতারের পর থেকেই কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন মীর কাশেম আলী। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল খারিজের পর তাকে হঠাৎ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরে সর্বমহলে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। এদিকে তাকে ঘিরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলের নয়া দিগন্ত পত্রিকার কার্যালয় থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মীর কাসেমকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে তাকে ফাঁসির আদেশ ও আটটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম। গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও সেই সাজা বহাল থাকে। পরে গত রোববার তার আইনজীবীরা আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন। মীর কাসেম আলীর ছেলে আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাসেম জানিয়েছেন, রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরে তার (মীর কাসেম) খালাস চাওয়া হয়েছে। তবে এই আবেদন খারিজ হলে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন মীর কাসেম আলী। প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে রায় কার্যকরে ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এর ইতোমধ্যে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দ- কার্যকর হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।