পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : পটিয়ার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে কাজী মসজিদ পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এক পক্ষের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শোভনদন্ডী ইউনিয়নের হিলচিয়া গ্রামের ওমর আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম (৩৫), মমতাজ মিয়ার পুত্র মো: মনছুর (১৮), আহমদ কবিরের পুত্র বদিউল আলম (৪৫), অলি আহমদের পুত্র জমির উদ্দিন (৫০), আবু ছৈয়দের পুত্র শফি আলম (২৪) ও আবদুল মালেকের পুত্র আবদুল জব্বার (৩৬)। শনিবার তারাবি নামাজ শেষে রাত ১১টায় হিলচিয়া কাজীর মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় রবিউল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে, অতর্কিতভাবে মুসল্লিদের ওপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে গ্রামবাসী গত রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, শোভনদন্ডী ইউনিয়নের কাজীর মসজিদটি প্রাচীন একটি মসজিদ। ৩৪৪ বছরের পুরনো (১৬৭২ সাল) এই মসজিদটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর এক পক্ষের সভাপতি ফয়েজ আহমদ, সেক্রেটারি এমদাদুল হক ও অপর পক্ষের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো: আবছার। জরাজীর্ণ মসজিদ সংস্কার করতে ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মসজিদ পরিচালনার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারী মো: আবছার। শনিবার জোহরের নামাজ শেষে মুসল্লি আবুল হোসেন বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে নাজেহাল করেন। অবশ্য তা মীমাংসা হয়। কিন্তু গত শনিবার রাতে তারাবি নামাজ শেষে প্রতিপক্ষের লোকজন আবার অতর্কিত গুলি চালালে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির এক পক্ষের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, তারাবি নামাজ শেষে মুসল্লিদের ওপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি, ভাঙচুর ও মালামাল লুট করা হয়েছে তা জঘন্য কাজ। আহতরা সুস্থ হলেই মামলা দায়ের করা হবে। মসজিদের অপর একটি পক্ষের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, তারাবি নামাজে গুলি চালানোর বিষয়টি সত্য নয়। নিজেদের গুলিতে নিজেরাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনিনি। গুলিবিদ্ধরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টি প্রতিবেদক নিশ্চিত করলে তিনি (ওসি) তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।