পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্রুত এগিয়ে চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেল লাইনের নির্মাণকাজ। দিন-রাত কাজ করছেন দেশি-বিদেশি শ্রমিকরা। ২০২০ সালের জুনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাবল রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করতে চলছে এ কর্মকা-।
এদিকে ডাবল রেললাইন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে প্রায়ই ছুটে যান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেললাইনের নির্মাণকাজের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছেন। সে কারণে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, আগামী জুনেই রেল চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। ডাবল রেল লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে জ্বালানি তেল খরচ যেমনি কমবে। সময়েরও সাশ্রয় হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের (লাকসাম-আখাউড়া) ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ অংশের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে নির্মিত ১৩৫ কিলোমিটার ডাবল লাইনের সুফল মিলবে। ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরোটাই (৩২৫ কিলোমিটার) ডাবল লাইনে উন্নীত হবে। পুরো পথ ডাবল লাইন হলে মাত্র সোয়া ৩ ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণ সম্ভব হবে। একই সঙ্গে একাধিক সরাসরি ট্রেনসহ আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাবে। এজন্য প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার সময় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ইতিমধ্যে এ রেললাইনের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) ২৫৩ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ লাইনে উন্নীত হয়েছে। অবশিষ্ট ছিল লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার। আগামী জুনের মধ্যে এ অংশটিও ডুয়েলগেজ-ডাবল লাইনে উন্নীত করার লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রকল্পটি ২০১৪ সালে ডিসেম্বরে অনুমোদন পায়। ঠিকাদার নিয়োগে ২০১৫ সালের ৪ মে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে এডিবি ঋণ দিচ্ছে ৪ হাজার ১১৮ কোটি ১৪ লাখ ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) দিচ্ছে এক হাজার ৩৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বাকি এক হাজার ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইন প্রকল্প সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক মেশিন ও যন্ত্রাংশের সাহায্যে প্রকল্পের কাজ চলছে।
প্রকল্প পরিচালক ডিএন মজুমদার জানান, এ প্রকল্প যথাসময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে ব্যাপক চাপ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেল লাইনের নির্মাণকাজের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছেন। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হবে ২০২০ সালের জুনে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি জয়েন্ট ভেঞ্চার গ্রুপের মাধ্যমে কাজ করছে। চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন, বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিটিএম জয়েন্ট ভেঞ্চার)। ইতিমধ্যে লাকসাম-আখাউড়া রেলপথের ডুয়েলগেজ কাজের অগ্রগতি প্রায় ৬৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।