Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : কৃষি শিক্ষাকে আবশ্যিক করা হোক

প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষি শিক্ষা ঐচ্ছিক (চতুর্থ) বিষয়ের গ্রুপে দিয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা কৃষি শিক্ষা পড়তে চায় না। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি শিক্ষা অবহেলিত হয়েছে। কৃষি কারিগরি ও প্রয়োগিক হওয়ায় কৃষির মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে কৃষি খামার, হাঁস-মুরগির খামার, গবাদিপশুর খামার, ফুল, ফল, শাকসবজি চাষসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। কৃষি কাজ করে ঝড়ে পড়া ছাত্রছাত্রী এবং উচ্চশিক্ষিত সকলেই বেকারত্ব দূর করতে পারে। অন্যদিকে দেশে কৃষিপণ্যের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষি শিক্ষায় ব্যবহারিক নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ২৫ করা হয়েছে। এটা করাও ঠিক হয়নি। গত ২০ এপ্রিল কৃষক লীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃষিতে ব্যবহারিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ওই খামারে নিয়ে যেতে হবে এবং ব্যবহারিকে নম্বর বাড়িয়ে দিতে হবে যাতে কৃষি শিক্ষাকে কেউ খাটো করে দেখতে না পারে।
দেশের বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা দূরসহ সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষি শিক্ষা সকল গ্রুপের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবশ্যিক অথবা নৈর্বাচনিক করা প্রয়োজন। অতএব বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করছি।
কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ
সহকারী অধ্যাপক (কৃষি শিক্ষা),
শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল

প্রসঙ্গ : ভারতীয় ভিসা
ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত আরো সুগম ও যোগাযোগের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। বন্ধুপ্রতিম এই দুটি দেশের মধ্যে অনায়াসে যাতায়াতের প্রধান প্রতিবন্ধকতা ভারতীয় ভিসা পদ্ধতি।
বর্তমানে ভারতীয় ভিসার আবেদনপত্র জমা দেয়ার আগে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনকারীকে ই-টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। এজন্য খরচ হয়ে থাকে ন্যূনতম ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মতো। এই অতিরিক্ত টাকার বোঝাটা বহন করতে হয় আবেদনকারীকেই। এত টাকা খরচ করার পরও অনলাইনে ই-টোকেন পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। এখানে উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, ভারত সরকার অনলাইনে ভিসার আবেদনপত্র জমা নেয়ার প্রথা যখন প্রথম চালু করেন, তখন অনলাইনে ভিসার আবেদনপত্রের বিপরীতে ই-টোকেন সংগ্রহ করতে মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকার মতো খরচ পড়ত এবং কম সময়ের মধ্যে পাওয়া যেত। এতে করে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এবং তারাই ভারতীয় ভিসাপ্রত্যাশী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ৬০ বছরোর্ধ্ব প্রবীণদের ও ১৩ বছরের নিচে শিশুদের এককালীন পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেয়া হবে। কিন্তু সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন আজো হয়নি। এ অবস্থায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন এই যে, নানাবিধ দুর্ভোগ ও হয়রানি থেকে রক্ষা করে যাতে সকলেই অতি সহজে ভারতীয় ভিসা পেতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।
খন্দকার আবদুর রাশেদ,
বাড়ি ২৫, সড়ক ১, সেক্টর ৬, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০

বাজেটে শিক্ষা জাতীয়করণের বরাদ্দ কাম্য
অনেক আক্ষেপ-অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এমপিওভুক্তদের বকেয়াসহ নতুন বেতনস্কেল প্রাপ্তি আশার দ্যুতি ছড়াচ্ছে। এজন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এমপিওভুক্তদের ভাগ্যে জুটল না বৈশাখী ভাতা। বাংলাদেশের শিক্ষা সমাজই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র পেশাজীবী, যারা ‘সিকিভাগ’ (২৫%) উৎসব ভাতা পান!
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ পদের সবাই একই পরিমাণ বাড়ি ভাড়া পান। তারা বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সুবিধা পান না। তারা পদোন্নতি, স্বেচ্ছা অবসর, বদলি সুবিধাসহ অসংখ্য বঞ্চনার শিকার। মানুষ গড়ার কারিগরদের মাসিক বাড়ি ভাড়া বাবদ সরকারি বরাদ্দ মাত্র পাঁচশ ও চিকিৎসা ভাতা তিনশ’ টাকা।
আশা করি আসন্ন বাজেটে এমপিওভুক্তদের বৈশাখী ভাতা (বকেয়াসহ), ১০০% উৎসব ভাতা, শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ থাকবে। শিক্ষকদের অবস্থান যত মজবুত হবে জাতি ততোই সোজা হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই পবিত্র রমজান ও ঈদ সামনে রেখে এসব ঘোষণাই পারে তাদের মুখে হাসি ও বুকে সাহস জোগাতে।
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ,
বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ,
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর ১৭৩০



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : কৃষি শিক্ষাকে আবশ্যিক করা হোক
আরও পড়ুন