Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া বন্ধ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:১০ পিএম

‘হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া বন্ধ করতে হবে। নরমাল ডেলিভারি করাতে না পারলে শিশু মৃত্যুর হার আশানুরূপভাবে কমবে না। এসডিজি অর্জন করতে হলে আমাদের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১৩ জনের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। দেশে বাল্যবিয়ের প্রচলন এখনো বন্ধ হয়নি। এটি বন্ধ করতে না পারলে মা ও শিশু উভয়ের মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হবে না।’- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের গড় আয়ু এক দশক আগেও ছিল ৬০ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরে দাঁড়িয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম সফল হওয়ার কারণেই এই সফলতা এসেছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর ‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন কর্তৃক ‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ সম্মাননায় ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্মাননা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এ পুরস্কার আমার না। এটা বাংলাদেশের জনগণকে আমি উৎসর্গ করলাম।’ আর এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী এ অনুষ্ঠানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে টিকাদান কর্মসূচিতে সংযুক্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা প্রদান করেন এবং বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পুরস্কৃত করেন।

জাহিদ মালেক বলেন, এক সময় ভালোভাবে দেশে টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন হতো না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়ার কারণে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। আগে প্রতি হাজারে ১৪০ শিশুর মৃত্যু হত। বর্তমানে সেই সংখ্যা শুধু ৪০ জনে নেমে এসেছে। বর্তমানে আমরা প্রায় তিন লাখ শিশুর অপমৃত্যু ঠেকাতে পারছি। তাছাড়া ঠিকমতো টিকা নেওয়ার কারণে পোলিওসহ আরও অন্য দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, যাদের আপ্রাণ প্রয়াসের কারণে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হিসেবে খেতাব পেয়েছেন, তাদের সবার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আসলে ভ্যাকসিন হিরো আপনারাই। আমরা যেভাবে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি, কষ্টও সেভাবে ভাগ করে নিয়ে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আগেভাগে উন্নয়ন কার্যক্রম চালু থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নত দেশে পরিণত হবে।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত সবাইকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব জনবল আমরা নিয়োগ দিচ্ছি ও দেবো। তাদের মানোন্নয়নেও আমরা কাজ করবো। শুধুমাত্র আপনারা আন্তরিকভাবে কাজ করে যান।

মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী এ কে এম মহিউল ইসলাম, ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভীরা মেনডোনছা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপ্রেজেনটেটিভ বর্ধন জং রানা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ