পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুরক্ষায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ মেগা প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুরক্ষাসহ মোট ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই ছয় প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ হবে। এরপরই উৎপাদনে যাবে ইউনিটটি, সেখান থেকে উৎপাদিত হবে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে বিভিন্ন নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ’ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মোট ৬৬৯ কিলোমিটার লাইনের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার হবে ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন। রূপপুর পারমাণবিক সুরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং নিরাপদ ও সুরক্ষিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
জানা যায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এর পুরো ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মেয়াদে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেট (ডিবিটি) এবং এর বাইরের হুমকিগুলো মোকাবিলা করা হবে। এর আওতায় পারমাণবিক নিরাপত্তা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিউক্লিয়ার পদার্থের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা ও সংবেদনশীল তথ্যের ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করা হবে।
একনেক সভায় ৩৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘যশোর-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেয়েছে ‘ফেনী-সোনাগাজী-মহুরী প্রকল্প সড়কে এবং বক্তারমুন্সী-কাজিরহাট-দাগনভঁইয়া সড়কে সেতুন নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
আর ৭৯ কোটি ব্যয়ে ‘আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরে পর্যটন ভবন ও ৩৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কক্সবাজার জেলার একতাবাজার হতে বানৌজ শেখ হাসিনা ঘাঁটি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি টাকা।
এদিকে একনেক সভায় ১২০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিলেট জেলার সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দশগ্রাম মাহতাবপুর ও রাজাপুর পরগণা বাজার এলাকা সুরমা নদীর উভয় তীরের ভাঙন রক্ষা’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।