পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা দরপতনের পর রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক কিছুটা বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি। তবে সোমবার (৪ নভেম্বর) আবার উভয় বাজারে বড় দরপতন হয়েছে। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা।
অব্যাহত দরপতনের কবলে পড়ে কয়ক মাস ধরেই বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পতনের কবলে পড়ে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এমনকি প্রতীকী গণঅনশনও করেছেন।
বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন থামাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে। কিন্তু শেয়ারবাজারের পতন বন্ধ হয়নি। উল্টো অক্টোবর মাসজুড়ে পতনের ধারা আরও বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা মামলার ভয় উপেক্ষা করে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছেন। সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছন। এরপরও পতনের ধারা বন্ধ হচ্ছে না শেয়ারবাজারে।
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসই দরপতন হয়। এ পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু সোমবার দিনের শুরুতেই পাল্টে যায় সেই চিত্র। লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। শেষ সময় এসে পতনের প্রবণতা আরও বাড়ে। ডিএসইর সবক’টি মূল্য সূচকের পতন হয়।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় ৭০ ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে অংশ নেওয়া ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪২টির। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে লেনদেন খরা অব্যাহত রয়েছে ডিএসইতে। বাজারটির লেনদেন আবারও দুইশ’ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩২৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নর্দান জুট মেনুফ্যাকচারিং।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, স্টাইল ক্রাফট, ফরচুন সুজ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২২৫ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।