Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সব ক্রেতার ভাগ্যে জুটছে না টিসিবি পণ্য

প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো ঃ রমজানের সপ্তাহ পর ক্রেতাদের প্রত্যাশা ছিল দ্রব্যমূল্য খানিকটা হলেও কমবে। বার বার এমনটি হয়ে আসছে। শুরুতে বাজার চড়ে এরপর কিছুটা কমে যায়। ফের ঈদ বাজারের আগে বাড়ে। কিন্তু এবার তেমনটি হয়নি। রোজার বাজারে উত্তাপ রয়ে গেছে। চিনি, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন সব রয়েছে আগের মত। খুচরো ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে ব্যাপক মজুদ থাকা সত্তে¡ও দাম কমছে না। বাজারে রোজার আগ থেকে টিসিবি তেল, চিনি, ছোলা, ডাল বিক্রি শুরু করলেও সাধারণ মানুষের নাগালে আসেনি। বাজারও নিয়ন্ত্রণ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে এসব মালও চোরাপথে ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে। টিসিবির মালের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সে তুলনায় সরবরাহ কম। টিসিবি সূত্র জানায়, তারা রাজশাহী মহানগরী ছাড়াও বিভিন্ন জেলা সদরে পণ্য বিক্রি করছে। নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে ট্রাকে করে টিসিবির ছোলা, ডাল, তেল, চিনি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিট্রাকে প্রতিদিন তিনশো কেজি চিনি, চারশো কেজি ছোলা, দুশো কেজি মশুর ডাল ও দুশো লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার থেকেও দাম কম হবার কারণে ক্রেতা লাইন দিচ্ছে। কিন্তু সবার ভাগ্যে জুটছে না টিসিবির এসব পণ্য। আবার গরীবরা টিসিবির পণ্যে হাত দিতে পারছে না। নির্দেশনা রয়েছে একজন ক্রেতা সর্ব্বোচ প্রতিদিন চারকেজি চিনি, ডাল দুকেজি, ছোলা পাঁচ কেজি ও তেল পাঁচ লিটার ক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু এর কম পরিমাণও ক্রয় করতে পারবে। এমন নির্দেশনা থাকার পরও ডিলাররা এক কেজির কমে কোন পণ্য বিক্রয় করছে না। ফলে চাইলেও গরীব ক্রেতারা পাচ্ছে না টিসিবির কমদামের এই পণ্য। একটি ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিল রিকশা চালক রাজ্জাক। কিন্তু তার ভাগ্যে জুটছে না টিসিবির পণ্য। কারণ তার ক্ষমতাছিল স্বল্প পরিমাণ করে কেনার। এরা কখনো এসব আধাকেজি করে কিনে অভ্যস্ত। দিন খেটে খাওয়া মানুষ। এর বেশী সামর্থ নেই। কিন্তু বিক্রেতা এককেজির নীচে কোন পণ্য বিক্রি করতে রাজী নয়। বিক্রেতা জানালো আড়াইশো গ্রাম আর আধাকেজির ক্রেতার সংখ্যা বেশী। খুচরো করে বিক্রি করলে হিসাব মেলাতে ঝামেলা হয়। তাই এককেজির নীচে পণ্য দেয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া মাল বেশী থাকে না বলে বড় বড় ক্রেতাদের দিতে সব শেষ হয়ে যায়। এ কারণে নিম্নবিত্তদের কাছে অধরা থাকছে টিসিবির কম দামের পণ্য। রিকশা চালক, শ্রমজীবী নারীদের মন্তব্য ওসব বড়লোকদের জন্য। অনেক বড়লোক তাদের কাজের লোক দিয়ে এসব পণ্য কিনে নিয়ে যায়। আমাদের ভরসা মহল্লার মুদি দোকান। টিসিবির একজন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বলেন আমরা সর্ব্বোচ্চ বিক্রির পরিমাণ ঠিক করে দিয়েছি। কম বিক্রির কোন পরিমাণ নির্ধারণ করা নাই। এটা নির্ভর করবে ক্রেতাদের চাহিদার উপর। ক্রেতারা কম চাইলেও তাকে তা দেয়া উচিত। এ বিক্রি কর্মসূচি তো নিম্নআয়ের মানুষের সুবিধার জন্য করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সব ক্রেতার ভাগ্যে জুটছে না টিসিবি পণ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ