পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানিয়েছেন, অধিকাংশ কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বা তিনগুণ বন্দি অবস্থান করছেন। রোববার জাতীয় সংসদে মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, জেল কোড অনুযায়ী একজন বন্দির শোয়ার জায়গা ৩৬ বর্গফুট হিসেবে নির্ধারিত। অধিকাংশ কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বা তিনগুণ বন্দি অবস্থান করছেন। বন্দি আবাসন সমস্যা দূরীকরণে বর্তমান সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কারাগারগুলো পুনঃনির্মাণে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করছে।
মো. আবদুল্লাহ’র অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের মোট ৪৪২৭ কি. মি. সীমান্তের মধ্যে ৪১৫৬ কি. মি. সীমান্ত ভারতের সঙ্গে এবং ২৭১ কি. মি. সীমান্ত মিয়ানমারের সঙ্গে। মিয়ানমারের সঙ্গে ২৭১ কি. মি. সীমান্তের মধ্যে কোনো স্থানে কোনো বিরোধ নেই।
ভারতের সঙ্গেও বর্তমানে কোনো সীমান্ত বিরোধ নেই। ভারতের সঙ্গে ছিটমহল, অপদখলীয় ভূমি অচিহ্নিত সীমানা ইত্যাদি বিষয়ে যে বিরোধ ছিল তা ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি এবং ২০১১ সালের প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফেনীর মুহুরী নদী এলাকা ব্যতীত সকল সীমান্ত এলাকার সীমানা পিলার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্কহীন রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহ
হাবিবুর রহমান মোল্লার টেবিলে উত্থাপিত এক জবাবে মন্ত্রী জানান. কূটনৈতিক সম্পর্কহীন রাষ্ট্রের সঙ্গে লিপ্ত হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করলেই রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে। রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন কারাদ-।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কূটনৈতিক সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে নিজ দল বা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই অভিযোগে দ- বিধির ১৮৬০-এর ১২০-খ, ১২১-ক ও ১২৪-ক ধারায় মামলা করা যাবে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন কারাদ-। দেশের প্রচলিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার চলতে পারে। আপাততঃ বিশেষ কোনো আইনের প্রয়োজন নেই, যোগ করেন তিনি।
মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে না পারলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে
পরে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমরা যদি ব্যবসায়ীদের শিল্প-কারখানা নিরাপত্তা দিতে পারি, হাইওয়ের নিরাপত্তা দিতে না পারি, জনগণ যদি শান্তিতে ঘুমাতে না পারে। তাহলে আমরা মনে করি, আমাদের সব উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ বরাদ্দের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান সমূহের চলমান ৪৬টি প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, আমাদের যোগাযোগ বাড়ছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়ছে, বাড়ছে থানার সংখ্যাও। পাশাপাশি রাস্তাঘাটে পুলিশের দায়িত্বও বাড়ছে। তাই বাজেটেও এ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ আরও বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সেময় তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু সরকার তা কঠোর হাতে দমন করতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা দেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছি। দেশকে একটি সক্ষম দেশে উপনীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ এদেশের জনগণ প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনও কোনো জঙ্গি, সহিংসতা, হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আর তা প্রমাণ করেই আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
মাদক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই ব্যাধিটি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো- যাতে তারা মাদকের বিরুদ্ধে এক সুরে কথা বলেন। মাদকের বিরুদ্ধে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মাদককে না বলেন। কেননা সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।