Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃত্যুদন্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন মীর কাসেম আলীর

প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৩৫ এএম, ২০ জুন, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করছেন। গতকাল রোববার মীর কাসেমের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পুনর্বিবেচনার আবেদনটি জমা দেন। ৮৬ পৃষ্ঠার আবেদনে এতে ১৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। মীর কাসেমের ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম বলেন, যেসব অভিযোগে দ- দেয়া হয়েছে, সেগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়ে এই আবেদন করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। এরপর গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও বহাল থাকে সেই সাজা। মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় ৬ জুন প্রকাশিত হয়। এরপর তাঁর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। কারাগারে মীর কাসেমকে পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। গতকাল আপিল বিভাগে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেন তিনি। এতেও তাঁর মৃত্যুদ- বহাল থাকলে শেষ সুযোগ হিসেবে তিনি প্রেসিডেন্ট কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। তা না করলে বা ওই আবেদন নাকচ হলে ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে সরকার।
২০১২ সালের ১৭ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেমকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে তাঁকে ফাঁসির আদেশ ও আটটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওই আপিলের শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। ফাঁসি বহাল রেখে ৮ মার্চ রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচি সদস্যের বেঞ্চ।

রিভিউতে মীর কাসেম খালাস পাবেন
-খন্দকার মাহবুব হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রিভিউতে খালাস পাবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। গতকাল রোববার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে রিভিউ দাখিলের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মীর কাসেম আলীর ছেলে এবং তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, ইউসুফ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা মনে করি জসিম হত্যার অভিযোগ থেকে মীর কাসেম আলীকে অবশ্যই রিভিউতে খালাস দেবেন আপিল বিভাগ। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আপিল বিভাগ নিজেই স্বীকার করেছেন ট্রাইব্যুনালে যে বিচার হয়েছে সেখানে তাকে অ্যাবেটর (সহযোগী) হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগ তাকে অ্যাবেটর না দেখিয়ে সরাসরি প্রধান আসামি হিসেবে সাজা দিয়েছেন। যেটা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। এটা আইনসম্মত হয়নি। সেই কারণেই আমরা বিশ্বাস করি চার্জ নম্বর ইলেভেনে যেখানে জসিম হত্যাকা-ের ব্যাপারে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে সেটা কোনো অবস্থায়ই বহাল থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। যে অভিযোগে মীর কাসেমকে মৃত্যুদ- বহাল রাখা হয়েছে আপিল বিভাগ নিজেরাই স্বীকার করেছিলেন সেই চার্জ ডিফেকটিভ, তার পরেও সেই চার্জে তারা মৃত্যুদ- বহাল রাখলেন। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি এবং আমরা মনে করি ১১ নম্বর চার্জ, যেটা করা হয়েছে জসিমের মৃত্যুর ব্যাপারে সে ব্যাপারে আমরা আপিল বিভাগে রিভিউয়ের পরে আমরা খালাস পাব। খন্দকার মাহবুব বলেন, মীর কাসেম আলী কিন্তু রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি একজন ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মাটিতে মানুষের শিক্ষা, মানুষের কল্যাণ ও সুচিকিৎসার জন্য কাজ করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের বেকার যারা আছেন তাদের কর্মসংস্থানে তিনি একজন সমাজসেবক হিসেবে কাজ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদন্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন মীর কাসেম আলীর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ