পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আলেমদের ফতোয়ায় সন্তুষ্ট ভারত
কূটনৈতিক সংবাদদাতা
বাংলাদেশের আলেমদের জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ভারত। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দু-বৌদ্ধদের জন্য ভারতের দরজা খোলা, তবে মুসলমানদের জন্য নয়। গতকাল দিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাৎসরিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ মোকাবিলা করতে চাচ্ছে তাতে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান তিনি। সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে, বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মীয় নেতারা রীতিমতো ফতোয়া দিয়ে এই ধরনের হামলাকে ইসলামবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন এবং লক্ষাধিক ধর্মীয় নেতা তাতে সইও করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এটা স্বীকার করতেই হবে যে, শেখ হাসিনা সরকার এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে বাংলাদেশজুড়ে ৩ হাজারেরও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের
পদক্ষেপের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
এদিকে চলতি জুন মাসেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এতটুকু আপস না করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম’ শীর্ষক রিপোর্টে এই প্রশংসা করা হয়। গত ২ জুন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিপোর্টটি প্রকাশ করে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলতেও তাদের দায়বদ্ধতা অটুট। আর সন্ত্রাসীদের দমনে ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভিন্ন দেশের অবস্থান ও পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ওই রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশের কথা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশ একটি সম্পূর্ণ আলাদা পরিচ্ছদ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদেও ক্ষেত্রে ২০১৫ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন? মার্কিন সরকারের ব্যাখ্যা: গত বছর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। এই প্রথম একাধিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন তার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন বলতে আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব-কনটিন্যান্ট ও ইসলামিক স্টেট বা আইএসের কথা বলা হয়েছে।
দেশের মাটির সন্ত্রাসী জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও আনসারুল্লা বাংলা টিম দমন করতে বাংলাদেশ সরকার যে যথেষ্ট ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, সে কথাও বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তবে এই প্রসঙ্গে, সরাসরি না বললেও, পরোক্ষে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকা ওই রিপোর্টের মাধ্যমে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কট্টরপন্থা ছড়িয়ে বাংলাদেশের বহু মানুষের মগজ ধোলাই করছে। মার্কিন সরকার মনে করিয়ে দিয়েছে গত বছর নভেম্বরে আইএসের অনলাইন ম্যাগাজিন ‘দাবিক’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধের কথা। ‘দ্য রিভাইভাল অফ জিহাদ ইন বেঙ্গল’ শীর্ষক ওই রচনায় বাংলাদেশে ভবিষ্যতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ও দেশে আইএসের কার্যকলাপের একটি রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।