পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে রাজধানীতে ততই তীব্র হচ্ছে যানজট। দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে অফিসের প্রথম কর্মদিবসে গতকাল রোববার যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা। তবে গতকালের যানজটের অন্যতম কারণ ছিলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মানববন্ধন। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী। একদিকে যানজট অপরদিকে গণ পরিবহন সঙ্কটে পায়ে হাঁটতে গিয়ে কোথাও কোথাও জনজটেরও সৃষ্টি হয়। রাজপথে যানবাহনের লম্বা সারি, ফুটপাতেও ব্যস্ত মানুষের ছুটে চলা। গণপরিবহনে প্রচ- ভিড়। তারপরও নির্দিষ্ট গন্তব্য পৌঁছতে প্রাণান্ত চেষ্টা কর্মজীবী মানুষের।
গতকাল সকালে ঢাকার যানজট কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও দুপুরের পর থেকে যেন থমকে যায় পুরো শহর। প্রতিটি সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। সড়কগুলোতে যানজটে যানবাহন চলাচল প্রায় থমকে যায়। দেশে অব্যাহত গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গি তৎপরতা এবং দেশের শান্তি গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা, উন্নয়নবিরোধী অপতৎপরতা ও চক্রান্তের প্রতিবাদে ১৪ দলের মানববন্ধন কর্মসূচির নির্ধারিত সময় ছিলো গতকাল বিকেল ৩টা থেকে চারটা। মানববন্ধন উপলক্ষে রাজধানীর ১৫টি পয়েন্টে অবস্থান নেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর গাবতলী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কের প্রধান এলাকাগুলোতে তাদের অবস্থান ছিলো। যে কারণে দলীয় কর্মীরা দুপুরের পর থেকেই মানববন্ধনে অংশ নিতে আসেন। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল আসার কারণে অলিগলিতেও যানবাহন আটকে থাকে। আর তখনই সড়ক থেকে অলিগলিতেও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর সব সড়কেই প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ, নিউমার্কেট, পল্টন জাতীয় প্রেসক্লাব, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরাসহ এমন কোন সড়ক নেই যেখানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়নি। বেলা ৩টায় বায়তুল মোকাররম থেকে টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটের উদ্দেশ্যে রিকশায় চড়েন সেখানের এক রেডিমেট পোশাক ব্যবসায়ী। তিনি যখন গন্তব্যে পৌঁছেন তখন বেলা সোয়া ৪টা। যানজটের কারণে অফিস শেষে অনেককেই হেঁটে বাসা কিংবা গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বাসে চাপলেও দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকার পর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মোটর সাইকেলে কাওরান বাজারে যেতে সময় লেগেছে দেড়ঘণ্টা। অফিস ফেরত মানুষের ঘরে ফেরার সময় এবং মানববন্ধন একই সময়ে হওয়ায় ঘরমুখী মানুষ বেশ সমস্যায় পড়ে। অনেককে বাসের ভেতর বসেই ইফতারি করতে হয়েছে। তবে যানজট প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাবরের মতোই একই বক্তব্য, যানজটে নগরবাসীর দুর্দশা লাঘবে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।