পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উদ্বোধনের তিন দিন পর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : উদ্বোধনের তিন দিন পর ট্রান্সশিপমেন্টে পণ্যের প্রথম চালান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পৌঁচ্ছে আজ। গতকাল রোববার দুপুর দেড়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দর থেকে মোট ৮৪ মেট্রিকটন রড নিয়ে ১টি টেইলর ও ৩টি ট্রাকে করে আখাউড়া স্থল বন্দরের উদ্যোশে ছেড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি আনুষ্ঠানিক টান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করলেও জাহাজ থেকে পণ্য খালাস না হওয়া, কাগজপত্র প্রক্রিয়া এবং ট্রাক জটিলতার কারণে দুদিন পর রোববার দুপুরে কাস্টমসের ছাড়পত্র শেষে ১টি টেইলর ও ৩টি ট্রাকে পণ্য আনলোড শেষে আশুগঞ্জ নদী বন্দর থেকে ছেড়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাত আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় গিয়ে পৌঁছবে এ পণ্য জানিয়েছেন কলকাতা থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় মালামাল পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আনবিস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এর প্রতিনিধি হাজী মোঃ আনিছুর রহমান।
বিআইব্লিউটিএ’র আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের পরিদর্শক মো. শাহআলম জানান, ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। পণ্য জাহাজ থেকে পুরোপুরি খালাস না হওয়ায় এবং কাগজপত্র ও ট্রাক নির্ধারণ না হওয়ায় পণ্য পরিবহন কার্যক্রম শুরু হতে তিনদিন সময় লেগেছে। রোববার কাস্টমসের ছাড়পত্র শেষে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে না দুপুরে ত্রিপুরার উদ্দেশে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা প্রমুখ। ৮৪ মেট্রিকটনের মধ্যে ১টি ট্রেইলরে ৩০ মেট্রিকটন ও প্রতিটি ট্রাকে ১৮ মেট্রিকটন করে ৩টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিকটন পণ্য যাচ্ছে ভারতে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকল (পিআইডব্লিউটিট) চুক্তির আওতায় ভারতীয় এক হাজার ৪ মেট্রিক টন লৌহজাত পণ্যবাহী এমভি নিউটেক-৬ কার্গো জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে। আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে খোলা ট্রাকে করে এই মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনে প্রতি টনে ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে মাশুল আদায় করা হবে। এছাড়া ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট ফি, বার্দিং (অবস্থান) ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং চার্জসহ জাহাজটি থেকে বাংলাদেশ পাবে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৫ টাকা। এর আগে দুই দফায় বিনা মাসুলে বিশেষ মানবিক কারণ দেখিয়ে ভারতের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারি যন্ত্রাংশ, কেমিক্যাল পদার্থ ও খাদ্য পণ্য চাল ত্রিপুরা রাজ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট করা হয়েছে। এবারই প্রথম মাসুল দিয়ে এক হাজার ৪ মেট্রিক টন লৌহজাত পণ্য আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।