পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুরের আট আসামির মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা হবে যে কোনো দিন। গতকাল রোববার প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতায় হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট ও গুমের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এই আট আসামির বিরুদ্ধে, যাদের মধ্যে ছয়জনই পলাতক। আট আসামি হলেন- ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারী, হারুন, মো. আবুল হাশেম, অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ওরফে ‘বদর ভাই’ এবং এস এম ইউসুফ আলী। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার শামসুল ও ইউসুফকে গতকাল রোববার কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বাকি ছয়জনকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ অভিযোগে গত বছর ২৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই আটজনের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, “মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আদালত রায় অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এখন যে কোনো দিন রায় ঘোষণা হবে।” যুক্তিতর্কের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের আরজি জানায়। অন্যদিকে আসামিপক্ষ অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। অন্যদিনে গ্রেপ্তার দুই আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ও গাজী এম এইচ তামিম। পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার।
তুরিন আফরোজ বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের আরজি জানিয়েছি। সাক্ষ্য ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের সর্বোচ্চ দ- হবে বলে প্রত্যাশা করি।” অন্যদিকে গাজী তামিম বলেন, “অভিযোগ খ-ন করে আমরা আসামিদের খালাসের আরজি জানিয়েছি।”
চলতিবছর ২৯ এপ্রিল এই আট আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। গত ২ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশ শামসুল ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে। নিয়ম অনুযায়ী বাকিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তারা তা করেনি। গ্রেপ্তার শামসুল হক জামালপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির এবং সিংহজানি স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইউসুফও একসময় জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এই দুইজন একাত্তরে রাজাকার বাহিনীতে এবং বাকি ছয়জন আলবদর বাহিনীতে ছিলেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।