পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রবি মৌসুম সামনে রেখে দেশের ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮শ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। ফলে দেশের ৬৪ জেলার ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ বিঘা জমি এ প্রণোদনার আওতায় আসবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ডা. আবদুর রাজ্জাক একথা জানান। এসময় কৃষি সচিব নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী ডা. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও বৈরী প্রভাব মোকাবিলায় কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের পাশে থেকে সহায়তা দিয়ে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিকূলসহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের আবাদ বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এবারও নয়টি ফসলে প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। কৃষিপণ্যের বহুমুখীকরণ ও খাদ্যে পুষ্টি নিশ্চিত করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং প্রধান লক্ষ্য। এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ বিঘা অর্থাৎ, ৯১ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমি চাষ করা সম্ভব। এতে প্রায় ৮শ ৪০ কোটি টাকা ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এবার মোট ৯টি ফসল কৃষিপ্রণোদনা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- গম, ভুট্টা, সরিষা, সূযর্মুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ ও পরের খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল। এই নয়টি ফসল আবাদের এলাকা বৃদ্ধি, হেক্টরপ্রতি ফসলের ফলন বৃদ্ধি, সার্বিকভাবে দানাশস্য এবং ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক কারণে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এই প্রণোদনার উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মোট ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭ জন কৃষক এ প্রণোদনা সুবিধা পাবেন। এদের মধ্যে ৭৫ হাজার জন পাবেন গম চাষের জন্য, ভুট্টার জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার জন, সরিষার জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার জন, সূর্যমুখীতে ৪ হাজার জন, চীনাবাদাম চাষে পাবেন ১০ হাজার জন, গ্রীষ্মকালীন তিলে ২৫ হাজার জন, শীতকালীন মুগে ৪৫ হাজার জন, গ্রীষ্মকালীন মুগের জন্য ৩০ হাজার জন, পেঁয়াজ চাষে পাবেন ৭ হাজার ৭ জন কৃষক। এসব কৃষকের প্রত্যেকে ১ বিঘা জমির জন্য শস্যবীজ, ডিওপি, এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনা গ্রহণ করতে পারবেন সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।