পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি-জামায়াত জোটের গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদী তৎপরতা এবং দেশের শান্তি, গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা, উন্নয়নবিরোধী অপতৎপরতা ও চক্রান্তের প্রতিবাদে আজ ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশের বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি এই কর্মসূচিকে সর্বাত্মকভাবে সফল করে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি সম্প্রতি বিএনপি-জামাত জোটের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গি-সন্ত্রাসী এবং রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী অশুভ শক্তিগুলো দেশব্যাপী গুপ্ত হত্যা, সন্ত্রাস ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপতা চালাচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, পাবনা, নাটোর, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী নীরিহ মানুষ, ধর্মীয় যাজক ও পুরোহিতকে কাপুরুষের ন্যায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা, সর্বোপরি একটি নির্বাচিত বৈধ সরকারকে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতাচ্যুত করার হীনষড়যন্ত্রে বিএনপি-জামাত জোট ও তাদের ছত্রছায়া, পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশবিরোধী এই চিহ্নিত গোষ্ঠী বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রয়াসকে বানচাল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধুলিসাৎ, গণতন্ত্র, সামাজিক সুস্থিতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করে সারাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
এতে আরও বলা হয়, অতীতেও বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানো এবং ২০১৫ সালে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ-হরতালের নামে সারাদেশে অগণিত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পদ ধ্বংসের ন্যায় মনুষ্য-বিবর্জিত বর্বরোচিত কর্মকা- চালিয়েছে। কিন্তু তাদের সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। এখন তারা কৌশল বদলিয়ে গুপ্ত হত্যা ও চোরাগুপ্তা আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী গর্বিত বাঙালি জাতি এই হত্যা, সন্ত্রাস, চক্রান্ত অতীতের ন্যায় এবারও পরাভূত করবে। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি গাবতলী, শ্যামলী, আসাদ গেইট, ২৭নং রোড, রাসেল স্কয়ার, গ্রীন রোড, বসুন্ধরা, সোনারগাঁও হোটেল, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন মোড়, নূর হোসেন স্কয়ার, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, গুলিস্তান পার্ক, ইত্তেফাক মোড়, রাজধানী মার্কেট, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এই মানব বন্ধন কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ও মহানগর ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।