Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাংলাদেশে ডি-৮ ইকনোমিক জোন স্থাপনের আহ্বান

এফসিসিসিআই সভাপতি- ডি-৮ মহাসচিবের বৈঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:২২ পিএম

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশে একটি ডি-৮ ইকনোমিক জোন স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। ডি-৮ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে আরও শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বর্তমান প্রযুক্তি বাজারকে লক্ষ রেখে জ্ঞান বিনময়ে সহযোগীতা বড়ানোরও আহ্বান জানান। সোমবার (২৮ অক্টোবর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ডি-৮এর মহাসচিব এ্যাম্বেসেডর দাতো কু জাফার কু শারি এর সাথে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান শেখ ফাহিম।

বৈঠকে ডি-৮ মহাসচিব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রশংসা করেন। দাতো কু জাফার কু শারি বলেন, ডি-৮-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাংলাদেশের ডি-৮ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি ফিনটেক, বর্তমান প্রযুক্তির বাজার, দক্ষতার উন্নয়ন, বিনিয়োগ সংস্কারসহ বর্তমান বিশ্বের চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও ডি-৮ মহাসচিব আগামি বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডি-৮ সামিটের ব্যপারেও বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রুত অগ্রসরমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ, বেসরকারি খাতের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে সরকারের সাথে এফবিসিসিআই’র অংশীদারত্ব এবং দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেন। এছাড়াও এফবিসিসিআই সিডব্লিউইআইসি, ইউএন, ডব্লিউটিও, আইটিসি, আইসিসি, এসআরসিআইসি (সিল্ক রুট), এসসিসিআইসহ ৯৭ টিরও বেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে নীতি নির্ধারক হিসেবে কাজ করছে। এফবিসিসিআই সভাপতি গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের উন্নয় এবং স্থিতিশীল ম্যাক্রো-ইকনোমিক প্রবৃদ্ধির ব্র্যান্ডিং-এর বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরেন। এফবিসিসিআই এখন কর্পোরেট মেম্বারশীপ করেছে বলেও ডি-৮ মহাসচিবকে অবহিত করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের দেয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে বাংলাদেশে একটি ডি-৮ ইকনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। ভারত, জাপান, চীন এরই মধ্যে ইকনোমিক জোন প্রতষ্ঠায় কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও ডি-৮ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করতে সম্মতি প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি এবং ডি-৮ মহাসচিব। বৈঠক শেষে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রুত অগ্রসরমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ এবং আসন্ন বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শণ করা হয়।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও ডি-৮ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে এসে দাড়িয়েছে যেখানে রপ্তানির পরিমান ১ এবং আমদানির পরিমান ৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এফসিসিসিআই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ