পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা রানা দাশগুপ্তের বক্তব্য দেশের বিরুদ্ধে উস্কানি বলে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন হবিগঞ্জের আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুল মজিদ খান। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
এমপি মজিদ খান বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি কি উস্কানি দিচ্ছেন? একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ‘পাকিস্তানপন্থিদের মতো’ কথা বলেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সম্প্রতি বেশ কয়েকটি হামলার পর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত নরেন্দ্র মোদির কাছে ‘হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য হস্তক্ষেপ’ চান।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা ঝুঁকির মুখে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের বড় আশা রয়েছে। পীযুষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, এ অঞ্চলে ভারত একটি বড় শক্তিধর দেশ। প্রতিবেশী দেশে যখন হিন্দুদের নৃশংসভাবে জবাই করা হয়, ভারত তখন অলস বসে থাকতে পারে না। ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই পরিবেশিত ওই খবর বাংলাদেশের মিডিয়ায় আসার পর দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
সংসদে মজিদ খান বলেন, বিএনপির সময়ে তারা (হিন্দু) দুর্গাপূজা করতে পারত না। সারা বাংলাদেশের মানুষ তাদের পেছনে ছিল, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের পেছনে ছিল। আজ তারা স্বচ্ছন্দে ধর্ম পালন করতে পারে।
রানা দাশগুপ্তকে নিয়ে ওই খবরের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রনায়কের কাছে আর্জি জানানোর দরকার নেই। এজন্য বর্তমান সরকারই ‘যথেষ্ট’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।