Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক কেজি গোশতের জন্য হত্যা করা হয় শিশু ফাহিমকে

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাতক্ষীরা থেকে আবদুল ওয়াজেদ কচি : এক কেজি গোশতের জন্য হত্যা করা হয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মনিরুল ইসলামের ছেলে শিশু ফাহিম আহমেদকে (৮)।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ চারজনকে গ্রেফতারের পর হত্যাকা-ের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।  
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের মুজিবর রহমান, তার স্ত্রী ছফুরা খাতুন, ছেলে ইব্রাহিম হোসেন ও ইসরাফিল হোসেন।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া ইসরাফিল হোসেনের স্ত্রী তামান্না খাতুনকে আটক করা হলেও তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, স্থানীয় বাজারে মুজিবর রহমানের সাইকেল মেরামতের একটি দোকান রয়েছে। গত ১৪ জুন সকালে এক কেজি গরুর গোশত কেনেন মুজিবর রহমান। এ সময় শিশু ফাহিমকে দিয়ে ওই গোশত বাড়ি পাঠান তিনি।
ফাহিম মুজিবর রহমানের বাড়ি গিয়ে দেখে তাদের বাড়িতে কেউ নেই। এ সময় বাড়ির সামনে থাকা ভ্যানের ওপর গোশত রেখে চলে আসে সে। পরে মুজিবর রহমানের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি এসে দেখে গোশতের প্যাকেট কুকুরে টানাটানি করছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবর রহমান ফাহিমকে ডেকে পাঠায় এবং জিজ্ঞাসা করে সে গোশতের প্যাকেট কোথায় রেখেছিল। ফাহিম উত্তর দিলে মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বেদম মারপিট করে। এতে ফাহিমের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফেটে রক্ত বের হতে থাকলে রক্ত বন্ধ হওয়ার জন্য ফেবিকল আঠা দেয় মুজিবর ও তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাতেও রক্ত বন্ধ না হয়ে উল্টো ফাহিমের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়। তখন কোন উপায় না পেয়ে ফাহিমকে একটি বাক্সে বন্দি করে রাখে তারা। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর পর রাতে কোন এক সময় ফাহিমকে পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে ফেলে দেয় তারা।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি সীমান্ত সংলগ্ন একটি পাট ক্ষেত থেকে শিশু ফাহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফাহিম সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মনিরুল ইসলামের ছেলে। মায়ের সাথে কুশখালি গ্রামে নানা হাজি মোহাম্মদ আলির বাড়িতে থাকতো সে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এক কেজি গোশতের জন্য হত্যা করা হয় শিশু ফাহিমকে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ