Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাবারের নামে গিলছি বিষ শুধুই ভেজাল আর ভেজাল

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রেজাউল করিম রাজু : সংযমের মাস রমজান। এ মাসেই ভেজালের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ছোলা ও ডালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডালের সাথে অবলীলায় মেশানো হলো অ্যাংকর ডাল। মাষকালাইয়ের ডালের সাথে সদৃশ্য থাকায় দামের হেরফেরের কারণে তাতে মেশানো হলো বড় মুগডাল। ছোলার বেসনেও অ্যাংকর। এতদিন গরিবের ডাল হিসাবে অ্যাংকর ব্যবহার হয়ে এলেও হালে কদর বেড়েছে, সাথে দামও। সব তরকারিতে মিলে যায় বলে আলুর কদর আছে। টিপ্পনী কেটে অর্থে ব্যবহার হয় গোল আলু। এখন অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছে অ্যাংকর ডাল। কারণ হিসেবে জানা গেল এর ঘিয়ে রঙ আর পেষাই করলে একেবারে পাউডার হয়। এটার মিশ্রণ চলছে সব মসলাতে। জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ সব মসলাতে মিশে যাচ্ছে। দুই-আড়াইশ’ টাকার কেজির এসব মসলায় পঞ্চাশ টাকার অ্যাংকর। একেবারে লাভে লাভ। শুধু মুদি ব্যবসায়ী কেন? এর কদর নাকি বড় নামী-দামি অনেক কোম্পানির কাছে। অনেকের দৃষ্টিনন্দন প্যাকেট পরীক্ষা- নিরীক্ষা করলে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসতে পারে। আমের আচার জুন তৈরিকারী এক প্রতিষ্ঠানের মালিক তার এ ব্যবসার পাশাপাশি গ্রামীণ মহিলাদের কাজের সংস্থান আর খাঁটিমানের মসলা ভোক্তাদের দেয়ার উদ্যোগ নেন। গ্রামে কুটির শিল্পের মতো করে খাঁটি মসলা গুঁড়ো তৈরি করেন। দৃষ্টিনন্দন প্যাকেটও করেন। তার উৎপাদন খরচের সাথে অন্যদের মিল না ঘটায় তাকে খাঁটি মানের মসলা বানানো রণে ভঙ্গ দিতে হয়। কারণ ঐ অ্যাংকর ডাল। কেমিক্যালের সাথে মিলেমিশে নানা নামের মসলার রূপ নিচ্ছে। কারো কারো মন্তব্য তাও ভালো ডালের গুঁড়ো মেশাচ্ছে। আরো নি¤œমানের জিনিস মেশানো হচ্ছে। এসব প্যাকেট আর খোলা হয়ে চলে যাচ্ছে ভোক্তাদের কাছে। দারুচিনির সাথে ভিন্ন গাছের ছাল, তেজপাতার সাথে অন্য পাতা, গোল মরিচে পাকা পেঁপের শুকনো বিচি। জিরের সাথে ঘাসের বিচি সবই মিশছে। অনেক দামি এলাচ কৌশলে ফুটো করে বের করে নেয়া হচ্ছে দানা। কিছু ভালোর সাথে এসব খোসা চালিয়ে দিচ্ছে। এর তালিকা অনেক লম্বা।
গত ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে আলাপচারিতায় উপস্থিত ক’জন বলেন, ভাই অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে তো লিখলেন। এমন একটা জিনিস দেখাতে পারেন যেখানে ভেজাল না আছে। রক্তের বিকল্প রক্ত। এতেও ভেজাল। এক ব্যাগ রক্তকে দু’ব্যাগ করার জন্য স্যালাইনসহ কত কী মেশাচ্ছে। লাল রক্ত নিয়েও হচ্ছে কালো ব্যবসা। আরেকজন বলে ওঠেন আরে ভাই বিষেও ভেজাল। বাজার থেকে ইঁদুর, তেলাপোকা মারার জন্য বিষ নিয়ে ব্যবহার করে দেখা যায় বিষ মেশানো খাবার খেয়ে ওরা বহাল তবিয়তে রয়ে গেল। পরের দিন দোকানিকে বিষয়টি জানালে জবাব আসে আপনি কিনেছেন ত্রিশ টাকারটা একশ’ টাকারটা কেনেন এটা একেবারে খাঁটি। ভেজাল নেই কিসে বলতে পারেন।
চাল নিয়ে চালবাজির শেষ নেই। ঢেঁকির যুগ শেষ হয়ে এসেছে অটোমেটিকের যুগ। এর কল্যাণে অটোমেটিকভাবে মোটা চাল হয়ে যাচ্ছে চিকন। পালিশের কারণে একেবারে ঝকঝকে তকতকে। ব্যবহার হচ্ছে ইউরিয়াসহ বিভিন্ন রাসায়নিক। সুগন্ধিও ব্যবহার হচ্ছে। মোটা ইরি এসবের কল্যাণে মিনিকেট, নাজিরশাইল, জিরাশাইলসহ বিভিন্ন নাম নিয়ে সুন্দর মোড়কে চড়া দামে চলে যাচ্ছে ভোক্তাদের ঘরে। কিন্তু রান্নার পর আসল স্বাদ আর কখনো পান না ভোক্তারা। ঝকঝকে ও চিটা কাঁকরমুক্ত বলে রাঁধূনীদের কাছে এর বড্ড কদর। এসব চাল কুলোয় ঝাড়া-বাছার প্রয়োজন নেই। ভালো মানের চাল এসব চালের কাছে মার খাচ্ছে। দামে প্রতিযোগিতার কারণে ছোট ব্যবসায়ীরাও ভেজাল মেশাচ্ছেন।
মাছ-গোশত মুরগির কারণে নদী-খাল-বিল মরে যাওয়ায় মিঠা পানির মাছের আকাল শুরু হয়েছে। ফলে মাছ বলতে খামারে উৎপাদিত। দেশীয় অর্ধশত প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। রুই-কাতল-মৃগেল, পাঙ্গাশ, কৈ, শিং, কালিবাউস আর কার্পজাতীয় সবই আসছে খামার থেকে। এসব মাছকে দেশীয় বলে চালানো হচ্ছে। খামারের কৈ, শিং, পাঙ্গাশ নদী বিল কিংবা পুকুরের বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। কালিবাউস, আইড়, রিঠাও হচ্ছে খামারে। বিভিন্ন ধরনের ফিশফিড আর গরু-মুরগির বর্জে এসব মাছ দ্রুত বেড়ে উঠছে। বিক্রেতারা জানান, বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় সিলভার কার্প, গ্রাসকার্প জাতীয় মাছের চাহিদা বেশি। এর দাম কম। চটকদার মসলার কারণে ক্রেতাদের কাছে এসব রুই-কাতল হিসেবে টেবিলে উপস্থাপন করা হচ্ছে চড়া দামে। সিলভার কার্প মাছ দিয়ে তৈরি হয় ফিশ কাটলেট। ক্রেতারা বুঝতেও পারেন না তারা কি খাচ্ছেন? মাছ কাটার ক্যারিশমায় অপেক্ষাকৃত ছোট সাইজের মাছের টুকরো বড় মাছের মতো হয়ে যায়। মাছ ব্যবসায়ীদের মতে, এগুলো হলো চাইনিজ পিস। হাসপাতালগুলোয় বড় বড় মাছ দেয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যায় নি¤œমানের ও ছোট সাইজের মাছ। এসব চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা বা বোঝা যায় না। ইলিশের নামে দেদার বিক্রি হচ্ছে চান্দিনা।
গরুর গোশতের ক্ষেত্রে অধিকাংশই মহিষের। এখানেও গরু মহিষ ভেজাল দেয়া হয়। আবার সরাসরি মহিষের গোশতকে গরু বলে চালিয়ে দেয়া হয়। এমনভাবে সাইজ করে ঝুলিয়ে রাখা হয় যা সব ক্রেতার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। আবার খানিকটা গরু আর খানিকটা মহিষের গোশত মিশিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা প্রকৃত অর্থে গরুর গোশত বিক্রি করেন। ভেজাল বিক্রির ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো নাজেহাল হতে হয়। খাসীর বাজারে বকরি বেশি। ওদের ভাষায় মহিলা খাসী। যারা কম দামে মাল চান তাদের জন্য বকরি খাসী বলে চালিয়ে দেয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক’জন গোশত ব্যবসায়ী বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বেশি চাহিদা মহিষ আর বকরির  গোশতের। পাচক আর মসলার ব্যবহারে মুখরোচক হয়ে ওঠে। বোঝা যায় না গরু না মহিষ। খাসী না বকরি।  গোশত বিক্রেতাদের বেশ কিছু দোকান পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় বিক্রির সময় পর্দাসহ বেশ কিছু গোশত যা খাবার যোগ্য নয়। সেগুলো কেটে আলাদা করে গামলা বা বালতিতে রাখা হচ্ছে। ক্রেতাকে দেখানো হচ্ছে তাকে ভালোমানের জিনিস দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ওসব জিনিসও ফেলনা নয়। ওগুলোর ক্রেতা রয়েছে। অর্ধেক দামে এসব কিনে ছোট ছোট হোটেল- রেস্তোরাঁ। এগুলো কিমার মতো তৈরি করা হয়, যা ব্যবহার হয় হালিম, সমুচা জাতীয় মুখরোচক খাবারে। গরু-খাসীর কানের চাহিদা কম নয়। কুচি কুচি করে সমুচায় ব্যবহার করা হয় বলে খাবার সময় মুট মুট করে। একজন গোশত ব্যবসায়ী বলেন, ভুলেও সমুচা খাবেন না। সিঙ্গাড়ার মধ্যে যে কলিজা ব্যবহার করা হয় তার বেশির ভাগ নষ্ট। সঙ্গে কলিজার অন্যান্য অংশও ফেলনা নয়। গরু-মহিষ-খাসী বকরির কোনো অংশ আর ফেলনা নয়।
মুরগি বলতে বেশির ভাগই খামারের। দেশী মুরগির সাথে ক্রস করে কালো-লাল আবার দু-তিন রকম রঙের মোরগ- মুরগি হয়েছে। এরা খুটে খায়। ছোটাছুটি করে বেড়ায় বলে এদের পায়ের রঙ কালো হয়, যা দেশী মুরগির মতো। এসব মুরগিকে প্রায় দ্বিগুণ দামে দেশী মুরগি বলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা। বাজার খামার থেকে এসব মুরগি বাছাই করে কিনে মহল্লায় মহল্লায় ফেরি করে বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে গৃহিণীদের কাছে। বাজারে খুব সামান্যই দেশী মুরগির সরবরাহ দেখা যায়। মুরগির নাড়িভুঁড়ি-চামড়া কোনো কিছুই ফেলনা নয়। নাড়িভুঁড়ি মাছের খামারে গেলেও ব্রয়লারের পা-চামড়া খাবার জন্য বিক্রি হয়। মুরগির ডিম গরিবের আমিষ বলে গণ্য হলেও দামের কারণে তা আর নেই। ডিমের আকারভেদে দাম হয়। সাদা ডিমের একেবারে ছোটগুলো বেছে নিয়ে বিশেষ কায়দায় ব্যবহৃত চা পাতার পানিতে চুবিয়ে রঙ খানিকটা বদলিয়ে দেশী ডিম বলে ক্রেতাদের প্রতারিত করা হয়। নষ্ট ডিমের কদর নাকি বেকারিগুলোর কাছে বেশি। এতে স্বাদের কেক-পেস্ট্রি তৈরি হয়। পানির অপর নাম জীবন। বিশুদ্ধ পানির নামে জারসহ বিভিন্নভাবে যে পানি বিক্রি হচ্ছে তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত আর বিশুদ্ধ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতে লাইনের পানি ব্যাকটেরিয়াভরা। সেই পানি সরাসরি বোতল আর জারে করে বাজারজাত করা হচ্ছে। যারা লাইসেন্স নিয়ে এ ব্যবসা করছে তাদের অনেকের পানি শোধন ব্যবস্থা ভালো নয় বলে পর্যবেক্ষণে দেখা যায়। এখন রমজান মাস চলছে। রমজান মাসে ইফতারির নানা পদের বাহারি সামগ্রীর ছড়াছড়ি। বনেদি রেস্তোরাঁ থেকে ফুটপাথ সর্বত্র চলছে বেচাকেনা। কিন্তু এসব সামগ্রী কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত। ভাজা-পোড়ার জন্য যে তেল রঙ মসলা সামগ্রী ব্যবহার করা তা অত্যন্ত নি¤œমানের। কাঁচামালের পাইকারি বাজার পর্যবেক্ষণ করার সময় নজরে পড়ে সেখানেও কোনো জিনিস ফেলনা নয়। অর্ধেক পচা আলু (যা কাটা আলু নামে পরিচিত) পচা পেঁয়াজ মরিচ মিষ্টি কুমড়ো সবই পচা অংশটুকু কেটে ফেলে বস্তাবোঝাই করা হচ্ছে। প্রতিদিন অনেক কম দামে এসব হোটেল-রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করা হয়। এ দিয়ে আলুর চপ-সিঙ্গাড়াসহ কত মুখরোচক খাদ্যসামগ্রী তৈরি হচ্ছে। আর আমরা সাধারণ মানুষ খাদ্যের নামে বিষ গিলছি। আমের ভর মওসুম চলছে। বাজারে ভরা আম। দামও কম নয়। এখানেও ভেজাল। শত রকমের আম রয়েছে। যার বেশির ভাগ গুটি। ক্রেতারা কয়টি আম চেনে আর জানে। বনেদি আম ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, হিমসাগর, ফজলি সবাই চেনে। এসব বনেদি আমের সাথে দেখতে প্রায় একই রকম গুটি জাতের আম মিশিয়ে বনেদি আমের দামে বিক্রি হচ্ছে। এই গরমে বিশেষ করে ইফতারির সময় ঠা-া শরবত সবার খুব পছন্দনীয়। শরবত ঠা-া করার নামে যে বরফ ব্যবহার করা হচ্ছে তা কতটুকু মানসম্মত। এসব বরফ তৈরি করা হয়েছে লাইনের সরবরাহ করা পানি দিয়ে। বরফ তৈরির মূল লক্ষ্য ছিল মাছে ব্যবহারের জন্য। সেই নি¤œমানের বরফ চলে আসছে শরবতের মধ্যে।
ভেজাল নিয়ে এমন প্রতিবেদন করতে গেলে এর কলেবর আরো বড় হয়ে যাবে। এসব প্রতিরোধের জন্য রয়েছে বিএসটিআই, বাজার মনিটরিং বিভাগ, ভোক্তা অধিকার দপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টরসহ নানা দপ্তর আর অধিদপ্তর। ভেজাল নিয়ে পত্রপত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রকাশিত-প্রচারিত হলে মাঝে মধ্যে এদের টনক নড়ে। নামে অভিযান দু-চার দিন তোড়জোড় চলার পর ফের যেই কার সেই অবস্থা। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও চলে বনেদি দোকান থেকে ফুটপাথ পর্যন্ত। ক্ষুব্ধ সচেতন মানুষের মন্তব্য যাদের এসব দেখভালের জন্য জনগণের টাকায় পোষা হয় তারা যদি বছরভর তৎপর হতো তাহলে অনেকটাই এসব নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো।
এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃস্থানীয়দের ক’জনের সাথে আলাপকালে তারা ভেজাল আর নি¤œমানের বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। কারো কারো মন্তব্য ছিল সবই তো দেখছেন। দু’নম্বরী কারবারের বখরা তো সবাই পায়। আপনারা খালি খালি পত্রিকায় লিখে আর টিভিতে দেখিয়ে ঝামেলায় ফেলেন। ওদের বখরার রেটটা বাড়িয়ে দেন। ভেজাল নিয়ে লিখে আর ভেজাল বাধাবেন না। লাগলে আপনিও নিয়ে যান। সবাইকে এক পাল্লায় মাপবেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাবারের নামে গিলছি বিষ শুধুই ভেজাল আর ভেজাল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ