পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সরকারের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সবার জন্য এবং সবার সঙ্গে, ‘কাউকে পিছিয়ে রেখে নয়’। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল। যার ফলশ্রুতিতেই সরকার এসডিজির আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যালায়েন্স অন এসডিজিস বাংলাদেশ ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্রতিবন্ধিতা’ শীর্ষক বেইজলাইন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যালায়েন্স অন এসডিজিস বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ঢাকার স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম। সভাপতিত্ব করেন মনসুর আহমেদ চৌধুরী।
ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যালায়েন্স অন এসডিজিস বাংলাদেশের আহŸায়ক ও সাইটসেভার্স-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর খন্দকার আরিফুল ইসলাম বলেন, এসডিজি লক্ষ্যসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে পিছেয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে একীভ‚ত করার কথা বলেছে। প্রত্যাশা করি, সরকার এবং উন্ন্য়ন সংস্থার সকল কার্যক্রম প্রতিবন্ধী-বান্ধব হবে।
অনুষ্ঠানে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্রতিবন্ধিতা’ শীর্ষক বেইজলাইনের প্রতিবেদনের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. নাফিসুর রহমান। তিনি বলেন, প্রকাশিত বেইজলাইন প্রতিবেদনটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সমূহ কিভাবে প্রভাব ফেলে তা প্রতিবন্ধিতার আলোকে বিশ্লেষণ করেছে। সহ¯্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশর সফলতা বিশ^ব্যাপী স্বীকৃত এবং সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকেও উত্তোরণ করেছে। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সরকার এবং উন্নয়ন সংস্থা সমূহকে অধিক জোর দিতে হবে বলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মনে করেন। এ প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা দূরীকরণে প্রতিবেদনটি এসডিজির আলোকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা রেখেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলোÑ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা বের করা, তাদের সকল ক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা, প্রাসঙ্গিক আইন ও নীতিমালার পরিবর্তন, অধিকতর বাজেট বরাদ্দ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারে সোচ্চার থাকা।
কে এম আব্দুস সালাম বলেন, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো সকল বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সাথে একসাথে কাজ করছে। তিনি এনজিও, ডিপিও (প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংস্থা) এবং সম্পৃক্ত সকল অংশীদারদের নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বারোপ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।