পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটিশ লেবার এমপি জো কক্স হত্যাকা-ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা। তাকে গুলি করে হত্যার আগে ‘পুট ব্রিটেন ফার্স্ট’ বলে চিৎকার করেছিলেন হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া টমি মায়ার।
জো কক্স যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। অন্তত দু’জন প্রত্যদর্শী দাবি করেছেন, হামলাকারী ব্রিটেন ফার্স্ট বলে চিৎকার করেছিলেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জো কক্সকে হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে। কট্টরপন্থী দল ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’কেও তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে। টমি মায়ারের সাথে রাজনৈতিক সংগঠন ব্রিটেন ফার্স্টের সংযোগ রয়েছে কি না তা জানা যায়নি। আবার টমিই প্রকৃত হত্যাকারী কি না, তাও বলার সময় আসেনি। তবে রাজনীতির বিশ্লেষকেরা সন্দেহ করছেন, কোনো কট্টর জাতীয়তাবাদী বোধ থেকেই জো কক্সকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
অতীতে টমি মায়ারের মানসিক অসুস্থতার রেকর্ড রয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ছোট ভাই। মায়ারের ছোট ভাই জানিয়েছেন, সাইকোথেরাপি (মনোসমীর) ও মেডিটেশনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। স্কটল্যান্ডের কিলমারনকে জন্মগ্রহণের পরও এসএ প্যাট্রিয়ট নামে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রাইবার হিসেবে মায়ারকে শনাক্ত করা হয়েছে। এক দশকের পুরনো ওই ম্যাগাজিনটি হোয়াইট রাইনো কাব নামে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বর্ণবাদী গোষ্ঠী প্রকাশ করত। ম্যাগাজিনটির সম্পাদকীয় দৃষ্টিভঙ্গি ‘বহু-সংস্কৃতির সমাজ’ ও ‘ইসলামের প্রসারের’ ধারণার বিরোধী বলে উল্লেখ করে কাব্যটি। তবে মায়ারের ছোট ভাইয়ের দাবি, মায়ার সহিংস ছিলেন না। কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও ছিল না তার। ছোটভাই এমনকি জানতেন না, কোন দলকে ভোট দিতেন মায়ার। প্রতিবেশীরাও তাকে শান্ত মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন জো কক্স। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির ব্যাটলি অ্যান্ড স্পেন আসনের এমপি ছিলেন তিনি। জো কক্স ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫২ বছরের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তার নাম টমি মায়ার। এ দিকে ব্রিটেন ফার্স্টের দলীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে হামলার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ভিডিওতে ব্রিটেন ফার্স্টের নেতা পল গোল্ডিং বলেন, ‘জো কক্স ব্রিটেনের ইইউর সাথে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সুতরাং, হামলাকারী যদি ব্রিটেন ফার্স্ট বলে চিৎকার করেও থাকে তবে তা আমাদের দলের নামের চেয়ে কোনো সেøাগান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’ Ñসূত্র : বিবিসি ও গার্ডিয়ান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।