পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নরসিংদীর এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীর জালিয়াতির বিচার নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় ও সন্দেহের উদ্রেক করেছে। বিচার আদৌ হবে কি না ? এ প্রশ্ন এখন নরসিংদী সর্বস্তরের জনগণের মুখে মুখে। কেউ বলছে কিছুই হবে না। দৃষ্টান্ত আছে আওয়ামী লীগ এমপিদের অনেক দুর্নীতি ও দুরাচারের বিচার হয়নি। এমপি বুবলিরও কোন বিচার হবে না। তবে অনেকে বলছেন, এমপি বুবলির পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে এ ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে এই জালিয়াতির ঘটনা। এমপি বুবলির এই জালিয়াতির ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আওয়ামী লীগ দলীয় স্বার্থেই বুবলীর এই জালিয়াতির ঘটনার বিচার করতে বাধ্য হবে। বিচার না করলে আওয়ামী লীগের জন্য এই জালিয়াতির ঘটনা একটি বিষফোঁড়া হয়ে থাকবে। একজন সংসদ সদস্য এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটাতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। পরীক্ষায় এত ভয়াবহ জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণ করে যে এমপি বুবলী ক্ষমতা পেলে অনিয়ম-দুর্নীতি ও নৈতিকতাহীনতার গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেবেন। উন্নয়নের দায়িত্ব পেলে বড় বড় পুকুর চুরি করতেও তিনি দ্বিধা করবেন না।
জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার পরপরই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গণমাধ্যমকে বলেছেন, এমপি বুবলীর এই পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে। আওয়ামী লীগের এমপি বলে তাকে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। এমপি হিসেবে বুবলী ঘটনা তদন্তে কোনো প্রভাব খাটাতে পারবে না। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা গেছে যে, এমপি বুবলীকে গণভবনে তলব করা হয়েছে। তবে সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বুবলির পরীক্ষায় জালিয়াতির বিচারের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের এসব কথা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তবে এমপি বুবলীর কি ধরনের সাজা হতে পারে তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছে না। ইতোমধ্যেই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সকল পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে এবং এমপি বুবলীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি গত বুধবার নরসিংদী সরকারি কলেজ পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে কমিটির সদস্যগণ নরসিংদী সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর হাবিবুর রহমান আকন্দ এবং হল সুপার অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন। এরপর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি বিচার করবেন তা জানা যাচ্ছে না। এসব বিচার হচ্ছে এমপি বুবলির বিরুদ্ধে একাডেমির আইনানুগ ব্যবস্থা। এদিকে বুবলীর পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ার পর তার একান্ত ঘনিষ্ঠ লোকদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগের কথা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। তার সেই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিটি ছিলেন ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।