Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তের দিনেও খোলেনি রহস্যের জট

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মিতু হত্যা মামলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি। তের দিনেও খোলেনি হত্যাকা-ের রহস্যের জট। খুনী কারা কেনই বা তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে এখনও কোন ধারণাই পায়নি মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। আসামিদের গ্রেফতার ও খুনের রহস্য উদঘাটনে ৬টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আরও ৬টি সংস্থা তদন্ত করছে আলোচিত এ হত্যা মামলার। এতকিছুর পরও গতকাল (শনিবার) পর্যন্ত মামলা তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি।
গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে ও আর নিজাম রোডে শিশু পুত্রকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে নির্মম হত্যাকা-ের শিকার হন মিতু। হত্যাকা-ের পরপর এ ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত থাকার সন্দেহ করে পুলিশ। চট্টগ্রামে সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সন্দেহের তীর ছুঁড়েন জঙ্গিদের দিকে। খুনের পর ভিডিও ফুটেজ নিয়ে আসামিদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। এ হত্যাকা-ের জের ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপি চট্টগ্রাম সফর করে যান। এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চলে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান। এ অভিযানে চট্টগ্রামে গতকাল পর্যন্ত ২৩০৮ জন গ্রেফতার হলেও মিতুর খুনীরা কেউ ধরা পড়েনি।
দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এ হত্যা মামলার তদন্তেও অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে ৭ জুন হাটহাজারী থেকে পুলিশ ধরে আনে মূসাবিয়া দরবারের খাদেম আবু নসর গুন্নুকে। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ সে শিবিরের সাবেক কর্মী বলে প্রচার করে। মাজার কর্তৃপক্ষ সে শিবির কর্মী নয় দাবি করে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে তাকে এ মামলায় জড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি মাজার নিয়ে বিরূপের জেরে এক পক্ষ গুন্নুকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।
এরপর মদ্যপ অবস্থায় রিকশাওয়ালাকে মারধর করার ঘটনায় শাহ জামান রবিন নামে এক ভবঘুরেকে ধরে এ মামলায় চালান দেয় পুলিশ। পুলিশ তাকে ভিডিও ফুটেজে দেখা খুনীচক্রের তিনজনের একজন হিসেবে সন্দেহ করে। দুইজনকে সাত দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে পুলিশের দাবি এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। তারা আদৌ এ ঘটনায় জড়িত কিনা সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। চাঞ্চল্যকর একটি হত্যাকা-ের পর পুলিশের একাধিক বাহিনী মাঠে নেমেও হত্যাকা-ের কোন কুল কিনারা করতে না পারায় মামলার ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অসংখ্য হত্যা মামলার মতো মিতু হত্যা মামলাটিও শেষ পর্যন্ত হিমাগারে চলে যেতে পারে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তের দিনেও খোলেনি রহস্যের জট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ