পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ৬ নভেম্বর। নিষ্ক্রীয় থাকা ও কৃষক সম্পর্কিত কোন কাজ না করার কারণে বেশ সমালোচিত এ সংগঠনটিকে সক্রিয় করতে সংগঠনের শীর্ষ দুই পদের পদপ্রত্যাশী নেতারা। সংগঠনটিকে নিয়ে যাবতীয় সমালোচনারও অবসান ঘটাতে চান তারা। এছাড়া কৃষকলীগ নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে যে নেগেটিভ ধারণা রয়েছে দায়িত্ব পেলে তা বদলাতে চান কৃষকলীগ নেতারা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে কৃষকলীগ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে তা কৃষকলীগের নেতারা স্বীকার করেন। নেতিবাচক ভাবমূতির কারণে কৃষকলীগের পরিচয় দিতেও অনেক সময় লজ্জাবোধ করেন নেতারা। এছাড়া সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়েও দলের অভ্যন্তরে রয়েছে ভয়াবহ অভিযোগ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়েছিল। বর্তমান কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় চার বছর আগেই। সম্মেলনের পর জেলা সম্মেলন করার কার্যক্রম শুরু করলেও এখন বেশ কয়েকটি জেলা সম্মেলন হয়নি। আওয়ামী লীগের সভাপতির স্বাক্ষরিত ১১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে সেই কমিটির কত সদস্য বিশিষ্ট তা জানেন না সংগঠনের সিনিয়র নেতারা। সংগঠনটির সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে অপরিচিত একাধিক ব্যাক্তিকে হঠাৎ দেখে বিস্মিত হয় সংগঠনটির সিনিয়র নেতারা। ওয়ার্কিং কমিটির অনুমতি না নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ববানদের কাছে লোককে পদে বসানো অভিযোগ ছিল।
এছাড়া দেশের বাহিরে কমিটি দিয়ে বেশ সমালোচনায় রয়েছে কৃষকলীগ। সৌদি আরব, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও কানাডায় কৃষকলীগের কমিটি রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা মহানগরে কৃষকলীগের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডিতে কৃষকলীগের কমিটির কী কাজ তা নিয়ে দলে সমালোচনা রয়েছে।
কৃষকলীগের এসব সমালোচনা থেকে সংগঠনের ইমেজ পুনরুদ্ধার ও গতিশীল করতে চান পদ প্রত্যাশী নেতারা। সম্মেলনে শীর্ষ দুটি পদে যারা আলোচনায় আছেন, সহ-সভাপতি বদিউজ্জমান বাদশা, সহসভাপতি এম এ করিম, শরীফ আশরাফ হোসেন, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ^নাথ সরকার বিটু, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব। এছাড়া সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ হাওলাদারও আলোচনায় আছেন।
এ বিষয়ে বদিউজ্জামান বাদশা ইনকিলাবকে বলেন, কৃষকলীগকে গতিশীল করতে হলে কৃষক ও কৃষক সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জ্ঞান আছে এমন নেতাকে সংগঠনের দায়িত্বে আসতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। প্রত্যেকটা সেক্টর ও ব্যক্তি কৃষির সঙ্গে জড়িত কেউ প্রত্যক্ষ আবার কেউ পরোক্ষ। কৃষক লীগ যদি সঠিক ভাবে কাজ করে তাহলে বাংলার কৃষক সমাজ কৃষকলীগকে মাথায় করে রাখবে। তাই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কৃষকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলতে পারবে এমন নেতা আমরা চাই।
কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ সমর্থকদের ধারণা, র্শীষ দুই পদের যে কোনো একটি পদে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সমীর চন্দ মনোনীত হলে সংগঠন সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল এবং সংগঠনের ভিতরের যে অনিয়ম রয়েছে তা দূর হবে। কৃষিবিদ সমীর চন্দ ইনকিলাবকে বলেন, আমি কোন পদের প্রত্যাশী নই। যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কোন দায়িত্ব দেন তাহলে আমি তা সর্বাত্মাকভাবে পালনের চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, কৃষকলীগের কনফারেন্সে আগামী দিনের নেতৃত্বে কৃষকের জীবন-যাত্রার উপরে জ্ঞান আছে, ধারণা আছে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সৎ ও দক্ষ সংগঠক নেতৃত্ব আমরা চাই। আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী, আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার উপর আমার সর্ম্পন্ন আস্তা আছে। বরাবরের মতোই এবারও তিনি কৃষকের সুখ-দুঃখের সাথী এমন সৎ বিচক্ষণ, কর্মক্ষণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝ থেকে নেতৃত্ব বাঁছাই করবেন।
বর্তমান কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা আবারও সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে থাকতে চান। তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন এবং দলের জন্য অনেক অবদান রয়েছে তার। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা বলেন, আমি কোনো প্রার্থী না। নেত্রী আমাকে যেখানে রাখবেন আমি সেখানে থাকবো।
সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংগঠনকে গতিশীল করতে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মত আমরা সকলে মিলে সংগঠনকে শক্তিশালী করে বাংলার কৃষক ও কৃষি সম্পর্কিত সকলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। তিনি প্রার্থী নন উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি দায়িত্ব দেন তাহলে তা পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।