পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি প্রকল্পের মেয়াদ ছয়বার বাড়ানো হয়েছে। ষষ্ঠবার বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির বাহমশবায়ন নিয়েও রয়ে গেছে সংশয়। বারবার সময় বাড়ানোর বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও।
ছয়বার মেয়াদ বাড়ানো প্রকল্পটির নাম ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধন)’। প্রকল্পটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতর বাস্তবায়ন করছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু তা পারেনি। এরপর ষষ্ঠবারের মতো গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ষষ্ঠবার মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের সময় ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্প থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৫২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগামী এক বছরে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে রয়ে গেল সংশয়।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অপচয় দুর্নীতির চেয়ে বড় অপরাধ। দুর্নীতি টাকার পরিমাণে ধরা যায়। কিন্তু অপচয়ের ফলে ক্ষতি কতটুকু হতে পারে, তা নির্ধারণ করা যায় না। সবচেয়ে বড় অপচয় হলো সময় অপচয়। সময়ের অপচয় আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যয়। এটা যদি কেউ গাফিলতি করে নিজের ইচ্ছায় করে থাকে, এটা দুর্নীতির চেয়ে ভয়ঙ্কর। দুটি বেজমেন্টসহ ১৩তলা বিশিষ্ট ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ও রেফারেল সেন্টার ভবন নির্মাণ এবং ইনস্টিটিউটের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র কিনতেই ছয়বার মেয়াদ বাড়ানো হলো।
প্রকল্পটির এবার মেয়াদ বাড়ানোর কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এ প্রকল্পের আওতায় সংগ্রহের জন্য সংস্থান করা যন্ত্রপাতি কেনা শেষ না হওয়া এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের পর জনবলের পদ সৃষ্টি, নিয়োগ ও পদায়ন না হওয়া, জনবল না থাকায় প্রশিক্ষণ প্রদান সম্ভব না হওয়া, কিছু যন্ত্রপাতির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করতে না পারা, কয়েকটি প্যাকেজের যন্ত্রপাতি দেশে আসার পর তা সংস্থাপনে আরও সময়ের প্রয়োজন হওয়া, প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ভবনের নিরাপত্তা না থাকায় যন্ত্রপাতি কেনার পরও অনেক যন্ত্রপাতি স্থাপন না করা, রি-এজেন্ট ও পশু ক্রয় করতে না পারা ইত্যাদি।
প্রকল্প থেকে জানা যায়, প্রথম দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত, দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত, পঞ্চম দফায় ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত এবং মঙ্গলবার একনেক সভায় ষষ্ঠবারের মতো বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। যদিও একনেক সভায় পঞ্চমবারের মতো মেয়াদ বৃদ্ধি বলে জানানো হয়।
শুরুতে প্রকল্পটির ব্যয় ছিল ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রকল্পটির ব্যয় ১৯৪ কোটি ৩২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। মূল প্রকল্পটি গ্রহণের আগে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করা ছিল না বলে প্রকল্প থেকে জানা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।