পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী মাসে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নতুন করে বন্ধন তৈরি হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে। দীর্ঘদিন মুলতবি হয়ে থাকা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে এতে খুলে যেতে পারে এক নতুন অধ্যায়। এ ইস্যুতে মন গলতে পারে মমতার। ভারতের অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমসে এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক দিপাঞ্জন রয় চৌধুরী। ‘মোদি, হাসিনা, মমতা লাইকলি টু প্যাড আপ অ্যাট ইডেন গার্ডেনস ফর তিস্তা টেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে তিনি আরও লিখেছেন, আগামী ২২ শে নভেম্বরে ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ হওয়ার কথা।
সেখানে উপস্থিত থাকার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার। তাকে এর আগেই ম্যাচ দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)-এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। তার সেই আমন্ত্রণ হাসিনা গ্রহণ করেছেন বলে ভারতীয় মিডিয়া খবর দিয়েছে ইতিমধ্যে।
ওই ম্যাচ দেখার জন্য মোদিও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, ওই সময় তিনি কলকাতায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তাকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলেছেন সৌরভ। ফলে তিনিও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অক্টোবরের শুরুর দিকে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইকোনমিক সামিটে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মোদির সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছে। এতে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বা সংযুক্তিতে এক নতুন অধ্যায় উন্মুক্ত হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ওই ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিত থাকবেন তখন তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই সুযোগে প্রস্তাবিত তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন নরম হতে পারে। মমতা এখনও বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিতে কঠোর অবস্থানে আছেন। কিন্তু গত মাসে শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতেই এই চুক্তি হবে।
এর আগে ১৯৮০র দশকে ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা ও ভারতীয় নেতারা বন্ধন তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কাছে কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ৪ অক্টোবরের সামিটে দুই পক্ষ বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে রাডার স্থাপনা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংযুক্তি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে নয়া দিল্লির ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সমৃদ্ধ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।