পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় আরও একজন ফৌজধারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার নাম এ এস এম নাজমুস সাদাত। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাদাতকে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারফুজ্জামান আনছারীর আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তাকে ১৬ অক্টোবর তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
গত ১৪ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে সাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। সাদাত বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সে জয়পুরহাটের কালাই থানার কালাই উত্তরপারার হাফিজুর রহমানের ছেলে।
আবরার হত্যায় এ পর্যন্ত ৮ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এর আগে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন খোন্দকার তাবাখারুল ইসলাম তানভীর, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে মোজাহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন এবং মনিরুজ্জামান মনির।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আবরার হত্যাকন্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত ২০ জনের সবাই এখন কারাগারে আছেন। এদের কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়েছেন। আবার অনেকেই দেনি। কারাগারে থাকা যেসব আসামি ফৌজধারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি তাদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে ফের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হতে পরে।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি প্রসঙ্গে পোস্ট দেওয়ায় গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্র শিবির সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে। এই ঘটনায় পরদিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের তৎকালীন ১৯ নেতা-কর্মীকে আসমি করা হয়। এজাহারে থাকা আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে জিসান, মোর্শেদ এবং এহতেশামুল রাব্বি তানিমকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তবে এজাহারে নাম না থাকলেও তদন্তে নাম আসায় এ পর্যন্ত আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।