পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর কল্যাণে পতনের ধারা কাটিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার (২০ অক্টোবর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। তবে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটে দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজারে মন্দা প্রবণতা বিরাজ করছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তারল্য সঙ্কট প্রকট হয়ে ওঠে। এ অবস্থা থেকে শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। বন্ড বিক্রি করে সোনালী ব্যাংক থেকে পাওয়া ২০০ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর পাশাপাশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারি ৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে আইসিবি। এ টাকা পেলেও তার পুরোটা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া ইউনিট ফান্ডের মাধ্যমে আইসিবিকে তহবিল সংগ্রহের সুযোগ দিতে চাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতি ফেরাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলেও শেয়ারবাজার গতি ফিরছে না। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই পতনের মধ্যে থেকেছে দেশের শেয়ারবাজার। গত রোববার মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮০টির। ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পরও ব্যাংক খাতের কল্যাণে মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬টি ব্যাংকের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪টির।
এদিকে ব্যাংকের ওপর ভর করে মূল্য সূচক বাড়লেও লেনদেন খরা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনের মতো ডিএসইর লেনদেন ৩শ’ কোটি টাকার ঘরে আটকে রয়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাজারটিতে লেনদেন কমেছে ৫১ লাখ টাকা।
লেনদেন খরার বাজারে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ১১ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু জুট স্টাফলার্স।
এছাড়া লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, সামিট পাওয়ার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৫৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির। আর ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।