পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সীতাকু-ে সেনা সদস্যের পর এবার পুলিশ কুপিয়েছে সন্ত্রাসী রমজান!
সীতাকু- (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকু-ে দায়িত্বপালনকালে সেনা সদস্যকে কুপিয়ে আলোচিত হওয়া সেই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রমজান আলী এবার ৫ পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে উপজেলার মহালঙ্গা চৌধুরীপাড়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। পরে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে রমজান বাহিনীর অনুসারী ১০ নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সীতাকু-ের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের মহালঙ্গা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক হত্যা, ডাকাতি, আর্মির উপর হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি রমজান আলী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কিছু সন্ত্রাসীকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঐ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মীর ছত্রছায়ায় থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছিলো না। আর এ সুযোগে গত কয়েক মাসে সেখানে পথের কাঁটা সরাতে যুবলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন নয়ন হত্যাসহ আরো বেশ কয়েকজন আ’লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে। ফলে শেষ পর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়েই পুলিশ রমজান বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
গত মঙ্গলবার ঐ গ্রাম থেকে রমজানের এক সহযোগী রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে রমজান পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকে। গতকাল (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর রমজানের অবস্থান জানতে পেরে সীতাকু- থানার এসআই সুজয় মজুমদারের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে রমজান পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনীসহ ধারালো কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশকে ঘিরে ফেলে হামলা চালায়।
এসআই সুজয় মজুমদার প্রতিবেদককে জানান, রমজান একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। একসময় শিবির করত সে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুতকালে মহালঙ্গা গ্রামে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বাকবিত-ার জেরে সেনা সদস্য বাছেরকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে রমজান। এসআই সুজয় আরো জানান, বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন রেহান রমজান, রিপনসহ একদল কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়ে বিশাল বাহিনী তৈরি করেছে। তার বাহিনীর রিপনকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান রেহান ও রমজান ঐ এলাকায় পুলিশ প্রবেশ করলেই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আমরা রমজানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাকালে তারা দলবল ও অনুসারী নারী-পুরুষ নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করতে আসে। লোকজন। তিনি বলেন, তারা চারিদিক থেকে ঘিরে হামলা চালালে এক পর্যায়ে আমার সঙ্গী কনষ্টেবল সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। আমরা পালিয়ে আসার সময় তারা আমাদের লক্ষ করে রকেট লাঞ্চার, ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে সে সহ কনষ্টেবল সালাউদ্দিন (২৬), ইসমাইল (২৮), সালাউদ্দিন (২৭), রিয়াজ (২৯) আহত হন।
সীতাকু- থানার ওসি মো. ইফতেখার হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রমজানের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা, সেনা সদস্যকে কুপিয়ে জখমসহ বহুরকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার বাহিনী ও অনুসারী কিছু লোক পুলিশের উপর হামলা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।