পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করায় ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের শিশুকালের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘বুয়েটিয়ান’ ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করার পর মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
আবরারের শিশুকালের ছবিটিতে এই রিপোর্ট লেখার সময় গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টার পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ৭৭৮ জনের বেশি ব্যক্তি ছবিটি শেয়ার করেছেন। তারা সবাই লিখেছেন, আবরারের শিশু বয়সের ছবিটি দেখে কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না।
মানসুরা মাহিন লিখেছেন, ‘যতবার তোমার খবর পড়েছি, দেখেছি কোনোভাবেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক দোয়া রইল, আল্লাহ তোমাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুক, এই কামনাই করি। তোমার মা বাবার কান্নার মূল্য তুমি পাবে ইনশাআল্লাহ...’
শেহজাবিন রহমান রিমঝিম লিখেছেন, ‘তোমাকে কখনও বাস্তবে দেখিনি, ভাই। এরপরেও তোমার কথা ভাবলে কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। আল্লাহ তায়াআলা.. তোমাকে জান্নাত নসিব করুক।’
সুচনা ইসলাম আলো নামের একজন লিখেছেন, ‘চেহারায় নুর আছে ছোটবেলা থেকেই। আল্লাহ মনে হয় তাদের প্রিয় রুহগুলাকে অনেক আগে থেকেই আলাদাভাবে বিশেষ বৈশিষ্ট্যে স্পেশাল করে দেন।’ সায়েদ বাহার উদ্দিন লিখেছেন, ‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ, মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান। তোমারি এ রক্তের বিনিময়ে আজ ও আগামীর বুয়েটের শিক্ষাঙ্গন পুরোপুরি কলুষমুক্ত হোক। জয় হোক সত্য সুন্দরের! নির্মুল হোক সকল দানবীয় অসুরদের।’
অ্যাঞ্জেল নাইমা খান লিখেছেন, ‘আবরার ভাই তুমি মরেও অমর হয়ে গেছো, সারাজীবন তুমি আমাদের মাঝে সম্মানের সহিত থাকবে, আল্লাহ তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক। কেন জানি খুব কষ্ট হয় তোমার জন্য।’ মিমি নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনার কথা মনে হলে কান্না পায়। আল্লাহ যেন আপনাকে জান্নাত নসিব করেন। আপনার কষ্টের কথা মনে হলে বুক ফেটে যায়। আমরা একই জেলার তবে কেউ কাউকে জানতাম না। তবুও আপনাকে অনেক মিস করি।’
মো. ইউসুফ লিখেছেন, ‘আহ্ আবরার যেন আমার পরিবারের কেউ একজন, তার পবিত্র মুখটা দেখলে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। আল্লাহ তার পরিবার আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবাইকে ধৈর্য্য ধরার তৌফিক দান করুক। আর আবরারকে শহীদের উঁচু মর্যাদা দান করুক।’ জেরিন তাসনিম লিখেছেন, ‘আবরার তোমাকে আমি চিনি না। কিন্তু তোমার চলে যাওয়ার পর থেকে আমার রাতে ঘুম হয় না। মনে হয়, খুব আপনজন ছিলে তুমি। আল্লাহ তোমাকে জান্নাতের সব থেকে ভালো স্থানে জায়গা দিক এই দোয়া করি। মিস ইউ আবরার।’
নীলিমা আফরিন অনির্বান লিখেছেন, ‘একেবারে অদেখা, অজানা একটা ছেলে কীভাবে যে মনের কোণে জায়গা করে নিল, জায়গা করে নিয়েছে মোনাজাতের অশ্রুতে। আল্লাহ তার কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন, আমিন।’
রিক্তা চৌধুরী লিখেছেন, ‘জানোয়ারগুলো তোমাকে বাঁচতে দিল না ভাই, এত পরিছন্ন ঈমানদার ছিলে তুমি যে, তুমি তোমার কৃতকর্মের জন্যই জান্নাতের দাবিদার। হে মহান আল্লাহ, আপনি আমাদের প্রিয় এই মানুষটাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা করে নেন। হাজার মা, বাবা, ভাই, বোনের চোখের পানি আপনি কবুল করে নেন। আমিন।’
পুষ্প কাউসার লিখেছেন, ‘খুব কষ্ট লাগে আবরারের কথা মনে পড়লে, কলিজাটা ফেটে যায়।’ মারিয়াম জান্নাত ইশা বলেছেন, ‘ভাই তুমি আমার রক্তের কেউ না। কোনোদিন দেখিনি। অথচ তোমার মৃত্যু সংবাদে যতবার কেঁদেছি যতটা যন্ত্রণা অনুভব করছি, আমি জানি না আমি কোনো প্রিয়জন হারিয়ে এতটা কেঁদেছি কিনা। যতবার তোমাকে দেখি ততবার চোখ দুটি আপনা আপনি পানিতে ভরে উঠে। আমার মা যখনই তোমার কথা শোনে তখনি হু হু করে কেঁদে ওঠে। বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। তুমি যে অমর, তুমি বেঁচে থাকবে চিরকাল কোটি মানুষের প্রাণে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।