পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বর্তমানে জাদুঘরে পরিণত নেপালে সাবেক রাজপ্রাসাদের খুব কাছেই কাঠমান্ডু জামে মসজিদ। এরই এক কোনায় রয়েছে বেগম হযরত মহলের মাজার, অতীতের জৌলুস হারানো নিতান্ত অবহেলিত এক সমাধিক্ষেত্র।
হযরত মহল ছিলেন ১৮৫৭ সালের ব্রিটিশবিরোধী সিপাহী বিদ্রোহের সূতিকাগার ভারতের তৎকালীন দেশীয় রাজ্য অযোধ্যার রানী। ব্রিটিশ শাসকদের হাতে বিদ্রোহ অবদমিত হওয়ার পরপরই তিনি ভারতের লক্ষেèৗ নগরী থেকে পালিয়ে যান। বিদ্রোহ দমনে এবং হযরত মহলের নিজ শহর ধ্বংস করতে ব্রিটিশ বাহিনীকে সাহায্য করেন তৎকালীন নেপালের শাসক জং বাহাদুর থাপা। তবে জং বাহাদুর রানীকে রাজনৈতিক আশ্রয়দানের প্রস্তাব দেন। হযরত মহলের সমর্থকরাও তার অনুগামী হয়ে নেপালে আসেন। তবে নেপালে ইসলামের আগমন ঘটেছে এরও অনেক আগে।
অতিপ্রাচীন কাল থেকে এ উপমহাদেশের সঙ্গে মুসলমানদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। অনেক মুসলিম পরিব্রাজক এসব এলাকা ঘুরে এ অঞ্চলের দেশগুলোর অবস্থা লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ১৫ শতকের দিকে তৎকালীন নেপালের রাজা রত্ম মাল্লার আমলে কাশ্মীরি ব্যবসায়ীদের কাফেলা প্রথম কাঠমান্ডু হয়ে তিব্বতের রাজধানী লাসায় যাতায়াত শুরু করে। এদের অনেকেই তৎকালীন কান্তিপুর (বর্তমানে কাঠমান্ডু) ভক্তপুর ও ললিতপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কাঠমান্ডু রাজপ্রাসাদ থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ দূরে ৫শ’ বছরের প্রাচীন কাশ্মীরি তাকিয়া মসজিদটি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই ঐতিহাসিক সত্যের সাক্ষী হিসেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।