পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বকেয়া পাওনা টাকা আদায়ে অবশেষে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগ করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। নিরীক্ষা আপত্তির প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ে ব্যান্ডউইথ কামানো, এনওসি বন্ধ ও অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও কাজ না হওয়ায় এবার প্রশাসক বসিয়ে সেই অর্থ আদায় করতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইতোমধ্যে প্রশাসক নিয়োগ করতে বিটিআরসির দেয়া চিঠিতে অনুমোদন দিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক জানান, প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সব প্রক্রিয়া শেষে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। গত এপ্রিলে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোনকে এবং ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা দাবি করে রবিকে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়। বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়, গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বিটিআরসি গত ৪ জুলাই অর্থ আদায়ের প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয় বিটিআরসি। এতেও অর্থ পরিশোধ না করলে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরও অপারেটর দুটি সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর কেন অপারেটর দুটির লাইসেন্স বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। অন্যদিকে টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির। বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর যায় আদালতে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধ মীমাংসায় টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, বিটিআরসি এবং দুই অপারেটরের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দুই দফা বৈঠকেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এখন প্রশাসক নিয়োগের পথে এগোচ্ছে সরকার; অর্থাৎ কোম্পানি দুটির মাথায় একজন করে সরকারি কর্মকর্তা বসিয়ে দেওয়া হবে। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রশাসক নিয়োগ করা হবে এটার জন্য ফরমালিটি। তারা আবেদন করেছে এবং তা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগ এখন সময়ের ব্যাপার। তবে, প্রশাসক হিসেবে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে, সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, বিটিআরসি এটা ফরমুলেট করবে। প্রশাসক কাকে নিয়োগ করা হবে, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ নেব। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। টাকা আদায় হয়ে গেলে প্রশাসক আর থাকবে না জানিয়ে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রশাসক নিয়োগের পর এনওসি চালু করা হতে পারে। ব্যবসা ও লাভের জন্য এনওসি দরকার হবে। কবে নাগাদ দুই অপারেটরে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে এবং সময়ের ব্যাপার মাত্র।
প্রতি অপারেটরে প্রশাসকসহ চারজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক। তিনি বলেন, একজন প্রশাসকের সাথে হিসাব, আইন ও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে। তারা পাওনা আদায় বিষয়ে সহযোগিতা করবে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল কী- জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ও রবি তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। গত ৩ অক্টোবর তাদের সাথে শেষ বৈঠক হয়েছিল। সাত দিনের মধ্যে রবি ২৫ কোটি এবং গ্রামীণফোনের ১০০ কোটি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবি ১৫ কোটি টাকার পে-অর্ডার নিয়ে আসলে আমরা অ্যালাও করিনি। এক মাস পরপর এভাবে ২৫ কোটি ও ১০০ কোটি দেওয়ার কথা ছিল। মিটিংয়ে রাজি হলেও তারা সাড়া দেয়নি।
“আমরা এটুকু বুঝতে চাই যে তোমরা টাকা দিতে ইচ্ছুক, এই ইচ্ছা প্রকাশের জায়গায়ও তারা আসেনি। তাহলে ১৯৯৭ সাল থেকে শুরুর করে এখন পর্যন্ত বকেয়া পাওয়ার কোনো ভরসা পাইনি। আমাদের টাকা না দিয়ে লাভ করে টাকা নিয়ে যাবে, এটা হতে পারে না।”
এদিকে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে চিঠি না পাওয়ায় এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চায়নি গ্রামীণ ফোন ও রবি। এদিকে গতকালই এই পাওনা নিয়ে বিরোধে গ্রামীণফোনের আপিল গ্রহণ করে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আদায়ে হাই কোর্ট দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।