Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বুয়েটে ‘সন্ত্রাস’ রুখে দেয়ার শপথ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ক্যাম্পাসে সব ধরনের ‘সন্ত্রাস’ ও ‘সা¤প্রদায়িক অপশক্তি’ রুখে দেয়ার শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ১টার দিকে বুয়েট মিলনায়তনে শপথ গ্রহণ করেন তারা। শপথে বুয়েটের ভিসি প্রফেসর সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হলের প্রভোস্টরা অংশ নিলেও দর্শক সারিতে উপস্থিত শিক্ষকরা অংশ নেননি।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য বেলা ১১টা থেকে মিলনায়তনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে গণশপথ গ্রহণ করার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করা হয়। বেলা সোয়া ১টার দিকে শপথ অনুষ্ঠান হয়। শপথ পড়ান ১৭ তম ব্যাচের ছাত্রী রাফিয়া রিজওয়ানা। শপথ শুরুর আগে ছাত্রলীগের পিটুনিতে নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণে ‘এক মিনিট’ নীরবতা পালন করা হয়। শপথবাক্যে তারা বলেন, ‘এ বিশ্বববিদ্যালয় সকল প্রকার সন্ত্রাস, সা¤প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেব।’ এতে বলা হয়, ‘এই আঙ্গিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ অত্যাচারের শিকার না হয়, তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব। নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যম‚লক অপসংস্কৃতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সমূলে উৎপাটিত করব।’
শপথে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞাতসারে হওয়া প্রতিটি অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাই সর্বদা সোচ্চার থাকবেন। এই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য তাঁদের ওপর অর্পিত নৈতিক, মানবিকসহ সব প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।
শপথ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বুয়েট ভিসি প্রফেসর সাইফুল জানান, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আবরার হত্যায় জড়িতদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। একক সিদ্ধান্তে কোনো কিছু হবে না। তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে, ডিন লাগবে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিব। আপনারা অধৈর্য্য হবেন না, কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।’
চলতি মাসের ৬ তারিখ রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এরপর থেকেই ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষার কারণে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল থাকার পর গত মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার বুয়েট ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এরপর মাঠের আন্দোলন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম আসবে, তাঁদের সবাইকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্লাস পরীক্ষায় ও একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না শিক্ষার্থীরা। ##



 

Show all comments
  • shaik ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৫৭ এএম says : 0
    ABRAR'er ZIBON'er BeneMoyee Pawaaa. ##JUSTICE 4 ABRAR # DUA 4 ABRAR. Ki Nre-song-sho selo tar hotta. Akta Medavi, Vodro, Namaji, Desh Premik selay. Kotto Gula aghat tar Kochi SORIR taa Bohon koray selo??
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৫৬ এএম says : 0
    Good !!!!! Welcome !!!!! Go Ahed !!!! My Allah with us.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বুয়েট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ