Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজিএমইএ ভবন ভাঙা ঝুলে গেল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আবারো এক দফা ঝুলে গেল বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙার কার্যক্রম। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ভবন ভাঙার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াল মেসার্স সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স। এতে আবারও সময় ক্ষেপণ হবে। গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দরদাতা প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার গ্রুপকে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা হয়ত আগামী সপ্তাহে চুক্তিপত্র দাখিল করবে, ওই সপ্তাহেই আমরা কার্যাদেশ দেওয়া হবে।

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স মঙ্গলবার ভবন ভাঙার কার্যক্রম থেকে সরে এসছে। এরপর নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ফোর স্টার গ্রুপকে। আগামী সপ্তাহে এ কোম্পানীকে নতুন করে কার্যাদেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। চুক্তি অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হবে। ভবনটি ভাঙতে সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্সের দরপত্র ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার। আর ফোর স্টার গ্রুপের দরপত্র ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ৭০ হাজার টাকার। তবে শেষ মুহূর্তে সরে যাওয়ায় সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্সের কাছ থেকে ১০ শতাংশ হারে ১৭ লাখ টাকা কেটে নিয়েছে রাজউক। তাতে ২ লাখ টাকা বাড়তি টাকা পাচ্ছে রাজউক। যে প্রতিষ্ঠান ভবনটি ভাঙবে তারা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) চুক্তির টাকা দেবে। বিনিময়ে ভবনের সমস্ত সম্পদ তারা নিয়ে যাবে। রাজউকের মূল্যায়ন অনুযায়ী বিজিএমইএ ভবনের মূল্য হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, বিজিএমইএ ভবন ভাঙা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। আমরা প্রথম দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছিলাম। কিন্তু যখন তাদের কাছে চুক্তিপত্র চাইলাম, তখন তারা সেটা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এতে কিছুটা সমস্যা হয়ে গেল। যাই হোক গতকাল (বুধবার) দ্বিতীয় দরদাতা প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার গ্রুপকে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা হয়ত আগামী সপ্তাহে চুক্তিপত্র দাখিল করবে, ওই সপ্তাহেই আমরা কার্যাদেশ দেওয়া হবে। তাহলে ভবন ভাঙতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমাদের একটু সময় ক্ষেপণ হলো। তবে কার্যাদেশ দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে ভবন ভাঙতে হবে। ভবনটি ভাঙা হবে ম্যানুয়ালি। কিছু হয়তো যন্ত্রও ব্যবহৃত হবে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে বেগুনবাড়ি খালের একাংশ ভরাট করে ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় বেইজমেন্টসহ ১৬তলা বিজিএমই ভবন। জলাধার আইন লঙ্ঘন ও রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ২ অক্টোবর পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন আদালতে উপস্থাপন করেন। এর পরদিন বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় দেন। রায়ে বলা হয়, বিজিএমইএ ভবন হাতিরঝিল প্রকল্পের ক্যান্সার। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের জমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিজিএমইএর খরচে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ওই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএর আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফায় আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের প‚র্ণাঙ্গ অনুলিপি পেয়ে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।



 

Show all comments
  • Md ayat Ali ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:৩৭ এএম says : 0
    এই বভন টি না বেঙ্গে একটি সরকারী শিশু হাসপাতাল যদি করা যেত সকল কর্তৃপক্ষ মিলে,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজিএমইএ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ