Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের উপর পেঁয়াজের দায় চাপালেন বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

পেঁয়াজের কেজি এখনো একশ টাকা। এই দামের দায় এবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি চাপালেন মিয়ানমারের উপর। বললেন মিয়ানমারের কারণেই পেঁয়াজের দাম কমছে না। গতকাল সোমবার পাট মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন। বাণিজ্যমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মিয়ানমারে ধর্মীয় একটি অনুষ্ঠানের কারণে দুই /তিন দিন তাদের রপ্তানি বন্ধ। ওইটা বন্ধ হওয়ার কারণে দুই-তিন দিনে দামটা বেড়েছে।
গত মাসে হঠাৎ করে ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বাংলাদেশে বেড়ে গিয়েছিল পেঁয়াজের দাম। সরকার অন্য দেশ থেকে আমদানি বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপে দাম কিছু কমলেও গত কয়েকদিনে আবার ঊর্ধ্বমুখী এই নিত্যপণ্যের বাজার। এখন একশ থেকে একশ ১০ টাকা দরে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, এই পরিস্থিতি অচিরেই ঠিক হয়ে যাবে।
উল্লেখ বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা গত রোববার পালিত হয়েছে। মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বৌদ্ধ। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর মিয়ানমারসহ তিনটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করা হয়।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টনের মতো। দেশে উৎপাদনের পর ১০ থেকে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে।
বন্যার কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়; তখন বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় উঠে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন মিয়ানমার থেকে আমদানি বাড়িয়ে দেয় সরকার। এটিসহ নানা পদক্ষেপে দাম কিছুটা কমলেও গত কয়েকদিন ধরে একশ টাকায় উঠে গেছে দাম।
পেঁয়াজ নিয়ে সরকারও সচেষ্ট জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। অবশ্য আমি দেশে ছিলাম না। সচিব তো কথা বলেছেন, চেষ্টা করছে বড় কিছু আমদানিকারক দ্বারা আমদানি করার জন্য। সমস্যাটা সাময়িক। তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের সোর্স (ভারত) যেটা ছিল, সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের হঠাৎ করে চাপ পড়েছে। মিয়ানমারের ঝামেলাও মিটে গেছে। সাপ্লাই শুরু হয়ে যাবে। তারপর অন্য জায়গা থেকেও আনব।
ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে বাংলাদেমের বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ফলে মিয়ানমার থেকে কয়েকদিন আমদানি বন্ধ থাকলে তার প্রভাব ঢাকার বাজারেও পড়ার কথা নয় বলে স্বীকার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ারা এ সুযোগটা নিচ্ছে। এটার প্রভাব পড়তে তো সময় লাগবে। কিন্তু সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দেয়া, সুযোগ নেয় অসৎ ব্যবসায়ারা। এটা তো ঠিক কথা নয়। আমরা শক্ত অবস্থানে যাব।
চলতি মাসের শেষের দিকে ভারতও রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বদলাবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওদের মহারাষ্ট্রে একটি নির্বাচন রয়েছে এই মাসের ২১ তারিখে। তারপর তিনি আশা করেছেন পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
গুদামে পেঁয়াজ মজুত বন্ধে ব্যবসায়ীদের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন বলেও জানান টিপু মুনশি। ##

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রী

২৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ