পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরকারের অন্তত দেড় শ’ (১শ’ ৪৯ কোটি) কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা’ নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার কমিশনের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, হিলফুল ফুজুলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ তালুকদার এবং প্রধান নির্বাহী নূরুল হক বিশ্বাস। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪ (২) ও (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানাযায়, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) থেকে ১২৪ কোটি টাকা ঋণ নেয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘হিলফুলফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা। সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ করে ইডকল। সৌরবিদ্যুতের প্রসারে ইডকল বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়। এ প্রক্রিয়ায় হিলফুল ফুজুলকে ঋণ দেয়া হয়। হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমআরএর লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান। এনজিও ব্যুরো ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুমোদনও ছিলো প্রতিষ্ঠানটির। ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের কাজও করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে ইডকলের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের কাজ করেছে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যথাযথভাবেই লেনদেন করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরই নানা অজুহাতে অর্থ ফেরত দেয়া বন্ধ করে দেয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডকল ১৩৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় হিলফুল ফুজুলকে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুদে আসলে ১৪৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। কিন্তু বারবার তাগিদ প্রদান এবং দেনদরবার করেও এ অর্থ আদায় করতে পারেনি ইডকল। পরে সরকারি সংস্থাটি নিজেই দুদকে অভিযোগ পাঠায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সরকারি অর্থ আতœসাৎ হওয়ায় অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম দুর্নীতির মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ কর্মসূচি থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগতভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। এই অর্থে তিনি তিনি নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে অন্তত: ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আর-ওয়ান সোলার, শ্যামলীর আর-ওয়ান ইলেকট্রনিক্স, কামরাঙ্গীরচরে ফুজুল প্রডাক্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, শিকড় হাউজিং লিমিটেড, রিছওয়ে ফ্যাশনস লিমিটেড, সেতু রোজ টেকনোলজি লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, জি কেবল ফ্যাক্টরি ও আডিয়েল ক্যারিয়ার সোসাইটি। এছাড়া বিদেশেও পাচার করেছেন অর্থ। দুদক অনুসন্ধান শুরু করলে এসব প্রতিষ্ঠানে তালা মেরে সপরিবারে বিদেশ চলে যান মো. রফিকুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।