পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের পর ছাত্র আন্দোলন শিথিল করলে গতকাল সোমবার ২০১৯-২০২০ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এদিন পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভর্তিচ্ছুদের মুখে মুখে ছিলো আবরার হত্যার কথা। অভিভাবকরা বলছেন উত্তীর্ণ হলে কিছুদিন পরেই তাদের সন্তান দেশের এ শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে আসবেন। তাই আর যেন কোন বাবা-মায়ের বুক খালি না হয় সে শঙ্কা থেকে ভিসির কাছে আবরার হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
২০১৯-২০২০ সেশনে বুয়েটে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ১৬ হাজার ২৮৮জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১২ হাজার ১৬১ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে রয়েছে ৮ হাজার ৮৯৬ জন ছাত্র ও তিন হাজার ২৬৫ জন ছাত্রী। পরীক্ষায় উত্তীর্ণের মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ পাবেন ১ হাজার ৬০ জন। এর মধ্যে এক হাজার পাঁচজন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ও ৫৫ জন আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন। ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে।
এর আগে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন রবি ও সোমবার পর্যন্ত শিথিল করা হয়। গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সোমবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভর্তিচ্ছুদের কলমসহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে গ্রহণ করে নিতে দেখা যায়।
সোমবার বুয়েট ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকদের মুখে মুখে ছিলো আবরার হত্যাকান্ডের বিষয়। অভিভাবকরা এ ঘটনায় প্রশাসনকে দায়ি করে বলছেন, ‘শিক্ষকরা যদি ছোট-ছোট ঘটনাগুলোর বিচার করতেন, তাহলে পরবর্তীতে আবরার হত্যার মতো ঘটনা ঘটতো না।’এদিকে আবরার হত্যাকান্ড ও পরবর্তী আন্দোলনের প্রভাব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পড়েনি বলে জানিয়েছেন বুয়েট ভিসি প্রফেসর সাইফুল ইসলাম। এদিন আবেদন করা ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। সকাল পৌনে ১১টার দিকে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিসি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে আমরা কাজ করছি। আবরার হত্যার প্রতিবাদের আন্দোলন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলেনি। বুয়েটের সংকট নিরসনে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। আমাদের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে বেশ কয়েকটি কমিটি করেছি। আশা করি, দ্রুতই সংকট নিরসন হবে।’
বহিরাগত উচ্ছেদে হলে হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে কোনো প্রয়োজনে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। আশা করি, তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। কারণ তাদের দাবির বিষয়ে আমরা একমত।’ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আবরার হত্যার বিচার চান গণমাধ্যমকর্মীদের এমন তথ্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকান্ডের বিচারে আমরা আন্তরিক। সরকারও বিচারের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আশা করি, সুষ্ঠু বিচার হবে।’#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।