বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার হত্যার কান্ডের অজানা এক তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএমপি। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবরারকে যে রাতে হত্যা করা হয় সেদিন রাত ৩টার দিকে পুলিশ হলের সামনে গেলে বলা হয়েছিল কোনও সমস্যা নেই। ওই সময় পুলিশকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আবরার হত্যার রাতে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ সেই দিন (৬ অক্টোবর) রাত ৩টার পরে হলে গিয়েছে। সেসময়ও পুলিশকে বলা হয়েছে কোনও সমস্যা নেই। ভেতরে সমস্যা না থাকলে পুলিশ হলে ঢোকার রেওয়াজ নেই। সমস্যা থাকলে, কেউ জানালে, তখন তারা ঢুকতে পারে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে যেটা পেয়েছি, ৩টার বেশ আগেই আবরার মারা গেছে। পুলিশ গিয়েছে অনেক পরে। ফলে কোনও চিৎকার বা শব্দ শোনাও সম্ভব হয়নি।’
হত্যার মোটিভ জানা সম্ভব হয়েছে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় ১৯ জন গ্রেফতার আছে। ১৫ জন এজাহারনামীয় এবং চার জন এজাহারবহির্ভূত। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে চার জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, তারা শিবির সন্দেহে মারধর করেছিল।
জবানবন্দির পাশাপাশি তথ্য বিশ্লেষণ এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে তাকে কি হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করছিল, নাকি মারার জন্য মেরেছিল। কাজেই শিবির সন্দেহে পেটানো না অন্যকিছু, সেটা আরও তথ্যপ্রমাণ ছাড়া উপসংহারে পৌঁছানো যাবে না। আদালতের দেওয়া তারিখের আগেই অর্থাৎ আগামী মাসের শুরুর দিকে তদন্ত শেষ হবে। তখন পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে।
অনেকে বলছেন মারধর করেছে দু’দফা, তিন দফা। আপনাদের পর্যবেক্ষণ কী বলছে -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারও কারও জবানবন্দিতে এসেছে বারবার কয়েক ঘণ্টা মারধর করা হয়েছে।’